রোহিত আর্যর মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকঘন্টা। ধীরে ধীরে সামনে আসছে সে কেন নাবালকদের পণবন্দি করে রেখেছিল, সেই সংক্রান্ত একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন তাঁকে এনকাউন্টার করা হল, পুলিশের সঙ্গে কথোপকথনে কী কী বলেছে রোহিত আর্য, সেই সংক্রান্ত তথ্য অবশেষে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। পেশায় সে মুম্বইয়ের (Mumbai) পোয়াইতে আরএ স্টুডিয়োর কর্মী ছাড়াও সে একজন ইউটিউবার। তার আগে মহারাষ্ট্র শিক্ষা দফতরের হয়েও বেশকিছু কাজ করেছিল সে। তবে শেষ কাজের সময় তাঁর বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়। প্রকল্পে বরাদ্দ করা ২ কোটি টাকার একটাকাও সে পায়নি। এই নিয়ে আন্দোলন করেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণে এই পরিকল্পনা ফাঁদে রোহিত।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের আঙুল
জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসারকারের সঙ্গে সে এদিন কথা বলতে চেয়েছিল। তিনি মন্ত্রীত্বে থাকাকালীনই ২ কোটি টাকার টেন্ডার পেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু কাজ করিয়ে নেওয়ার পর তাঁকে কোনও টাকা দেওয়া হয় না। তারপরেই আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় সে। এদিন অভিযানের আগে তদন্তকারী টিমের সদস্যরা ফোনে রোহিতের সঙ্গে কথা বলছিলেন। প্রথমদিকে সে সহযোগিতাও করছিলেন। সেই কথাবার্তার মধ্যেই উঠে আসে দীপক কেসারকারের নাম। রোহিত জানায়, সে এই ব্যক্তিকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করবে না। এই কথোপকথনের পরেই পুলিশের সঙ্গে অসহযোগীতা শুরু করেন রোহিত আর্য।
অভিযানে পুলিশকে সাহায্য করে কম্যান্ডো
তারপরেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ৩.৩০ মিনিটে স্টুডিয়োর গ্রিল ভাঙতে শুরু করা হয় এবং বিকেল ৪.৩০ মিনিটে স্টুডিয়োতে প্রবেশ করেন তাঁরা। গোটা অপারেশনে ছিল ৮ কম্যান্ডো। যৌথ বাহিনী ঘরে ঢুকে দেখতে পান মেঝেতে রাসায়নিক পড়ে রয়েছে। এদিকে রোহিত হামলা শুরু করে এয়ারগানে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ ও কম্যান্ডো। সেই মুহূর্তে, এপিআই অমল ওয়াঘমারে পাল্টা গুলি চালান, আর সেই গুলি রোহিতের বুকের বাম দিকে লাগে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় রোহিত আর্য। এই অভিযান করতে বাহিনী সময় লাগে একঘন্টার থেকে কিছুটা বেশি।