আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) এক সপ্তাহ পার। একদিকে ঘটনার যেমন তদন্ত চলছে, তেমনই অন্যদিকে যাত্রীদের দেহ সনাক্ত করে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৮৭ জনের মতো যাত্রীর মরদেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকা্ংশই ভারতীয় নাগরিক। পাশাপাশি বিমানকর্মী, পাইলটদের দেহ সনাক্ত হয়েছেষ। বৃহস্পতিবার এআই ১৭১ বিমানের কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্দারের মরদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারের হাতে। বেলার দিকে সেই দেহ এসে পৌঁছাল মুম্বইতে।
বিমানের পাইলটদের মরদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে
গত মঙ্গলবার বিমান দুর্ঘটনা পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সবরাওয়ালের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছিল তাঁর পরিবারের হাতে। সুমিত ও ক্লাইভের মিলিত উড়ান অভিজ্ঞতা ছিল ৯ হাজার ৩০০ ঘন্টারও বেশি। তার মধ্যে সুমিতেরই ছিল ৮ হাজার ২০০ ঘন্টা। ঘটনার দিন তাঁর হাতেই ছিল বিমানের রাশ। এতটা অভিজ্ঞতা থাকার পরেও কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রী ও ক্রু মেম্বার মিলিয়ে ২৪২ জনের মধ্যে মৃত্যু হয় ২৪১ জনের। এছাড়া বিমানটি বন্দর লাগোয়া মেঘানিনগরের যে এলাকায় ভেঙে পড়ে সেখানেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একটি মেডিকেল হোস্টেলে ধাক্কা লাগার কারণ ৪ জুনিয়র চিকিৎসক সহ বেশ কয়েকজন কর্মীদের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সময় ফ্লাইটে ভারতীয় নাগরিকদের পাশাপাশি ব্রিটিশ, পর্তুগাল ও কানাডার নাগরিকও ছিলেন।