থমথমে পহেলগাঁও (ছবিঃANI)

নয়াদিল্লিঃ মঙ্গল দুপুরে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir)পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হানায় (Terror Attack) মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের। নাম, পরিচয় জেনে বেছে বেছে খুন করা হয় পর্যটকদের। পরিবারের সামনে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় শরীর। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। জঙ্গি হানার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার রাতেই পথে নেমেছিল কাশ্মীরের মানুষ। বুধবার জম্মু কাশ্মীর জুড়ে বনধ ডাকা হয়। এই বনধকে সমর্থন জানায় কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। বুধবার কাশ্মীর জুড়ে পালিত হয় বনধ। জঙ্গি হামলার দু'দিন কেটে গেলেও আজ, বৃহস্পতিবারও থমথমে কাশ্মীর। ফাঁকা রাস্তাঘাট। দেখা নেই পর্যটকদের। যে সমস্ত পর্যটকেরা এখনও কাশ্মীরে রয়েছেন তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আতঙ্কে হোটেল বন্দি কেউ-কেউ। রাস্তাঘাটে তেমন দেখা যাচ্ছে না মানুষজন। এক কথায় বৃহস্পতিতে যে কাশ্মীরে অঘোষিত বনধ।

বৃহস্পতিতেও থমথমে কাশ্মীরে, দেখা নেই পর্যটকদের

রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর নিয়ে মানুষের মনে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। ভূস্বর্গে যেতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রায় ফাঁকা শ্রীনগরগামী বিমান। কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে কাশ্মীর? জাগছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের ঘটনা এক কথায় নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। ভূস্বর্গের স্মৃতি মুহূর্তে নড়কে পরিণত হয়েছে ২৬ টি পরিবারের কাছে। চোখের সামনে নিজের স্বামীকে মরে যেতে দেখেছেন কোনও স্ত্রী। কেউ দেখেছে বাবার মৃত্যু। কেউ আবার সন্তান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। মৃতের তালিকায় রয়েছেন তিন বঙ্গ সন্তান। বুধবার কলকাতায় আনা হয় পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারী ও সমীর গুহোর দেহ। বিমান বন্দরে তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানান অনেকে।

বৃহস্পতিতে কাশ্মীরে 'অঘোষিত বনধ, দেখুন ভিডিয়ো