রাজস্থান থেকে ৭ লাখে মেয়েকে বিক্রি বাবার, হায়দরাবাদে উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা
প্রতীকী ছবি (Photo Credit: Pixabay)

জয়পুর, ১৩ নভেম্বর: সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে নাবালিকা মেয়েকে বিক্রি করে দিল বাবা। মাস পাঁচেক পরে সেই নাবালিকাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হায়দরাবাদ থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। চলতি বছরের জুন মাসে রাজস্থানের বারমেঢ় (Barmer) জেলায় নাবলিকাকে তার বাবা একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জুলাই মাসে মেয়েটির বাবা ও সঙ্গে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মালি সানওলা রাম দাসপা  (Mali, Sanwla Ram Daspa) নামের একজনের কাছে নাবালিকাকে বিক্রি করা হয়েছিল। তাকেও শ্রীঘরে ঢোকায় পুলিশ। এরপর নাবালিকার কোঁজে তদন্ত শুরু হলে হায়দরাবাদের সিনওয়া থানার পুলিশ কর্তা দাউদ খান জানান নাবালিকার খোঁজ মিলেছে। সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এর মধ্যে এই ঘটনায় জড়িত আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বারমেঢ় –এর পুলিশ সুপার শরদ চৌধুরি  (Sharad Choudhary ) জানান, দুই অভিযুক্তের সঙ্গেই ওই নাবালিকাকে বুধবার সিওয়ানা থেকে উদ্ধার বারমেঢ়ে নিয়ে আসা হয়েছে। নাবালিকাকে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার ১৫ নভেম্বর তাকে আদালতে তোলা হবে। গত ৩০ জুন এক ব্যক্তি বারমেঢ় থানায় নাবালিকা অপহরণ ও বিক্রির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে এতদিন পর উদ্ধার নাবালিকা। আরও পড়ুন-Madhya Pradesh: রেলের ওভারহেডের তারে ঝুলছে যুবক, উদ্ধার করতে নেমে নাকাল রেলকর্মীরা(দেখুন ভিডিও)

পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী গোপা রাম মালি নামের এক ব্যক্তিই নাবালিকার বিয়ের খবর দেন তার কাকাকে। তিনি জানান, নাবালিকার বাবা মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছে। কোনও ধনী বাডিতে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে। ২২ জুন এই খবর পান কাকা, তারপর দেখেন মেয়েকে নিয়ে সিওয়ানা রওনা হয়েগেল বাবা, কেননা বরের বাড়ির সঙ্গে আলোচনা আছে। কিন্তু বাড়ি ফিরলে দেখা যায় বাবার সঙ্গে নেই মেয়ে। নাবালিকার খোঁজ করতেই বাবার সটান জবাব, তাকে মামার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছি। ২৬ জুন মামার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে মেয়ে পৌঁছায়নি। বাবা নাকি মেেকে রাখতে মামার বাড়িতে যায়নি। এরপর বাবাকে চেপে ধরলে তার জবাব, মামার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেকগুলো লোক গাড়িতে করে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এতবড় ঘটনা কেন সে চেপে রেখেছিল, তার সদত্তর দিতে পারেনি। এরপরেই অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা