
মিজোরামের রাজধানী আইজলের সাইরাং পর্যন্ত প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান সফলভাবে সম্পন্ন করে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (NF Railways)। এর মাধ্যমে উত্তরপূর্ব রাজ্যের সাথে রেল সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সাথে রাজধানী সংযোগ সহ মিজোরামকে চতুর্থ উত্তরপূর্ব রাজ্যে পরিণত করেছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা আজ এক প্রেস বিবৃতিতে এ খবর জানিয়ে বলেন, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (নির্মাণ) অরুণকুমার চৌধুরী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন রেলকর্মীদের উপস্থিতিতে গতকাল( ২ মে, বৃহস্পতিবার) এই ঐতিহাসিক ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হয়েছে। তাঁদের উপস্থিতিতে এই সাফল্য অর্জনের গুরুত্ব এবং কঠিন ভূখণ্ড ও লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে টিমের নিষ্ঠার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। সাইরাঙে সফল পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর পর অরুণকুমার চৌধারী মিজোরামের রাজ্যপাল অবসরপ্ৰাপ্ত জেনারেল (ড.) বিজয়কুমার সিং এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমাকে ভৈরবী-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পের পরিধি, অগ্রগতি এবং কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ব্রিফিং প্রদান করেছেন।
🚆 From the Hills to the Heart of India!
Aizawl is set to become the 4th northeastern capital to be connected to the Rail Map as Indian Railways completes its maiden trial run to Sairang, Aizawl, enhancing connectivity and unlocking new avenues for progress of Mizoram. pic.twitter.com/oHzkPiLyrq
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) May 3, 2025
অরুণকুমার চৌধারী বলেন, প্রকল্পের নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, জুনের শুরুতে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার পরিদর্শন করবেন, এবং ১৭ জুনের পর ভৈরবী-সাইরাং রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কথোপকথনের সময় তিনি নির্মাণকাৰ্য সফলভাবে কাটিয়ে ওঠা কৌশলগত বাধাগুলি সম্পর্কেও বিস্তারিত বৰ্ণনা করে এই প্রকল্পটি যে ওই অঞ্চলে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধা প্রদানে প্রস্তুত তার ওপর জোর দেন।
৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেলওয়ে প্রকল্পটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি প্রকৌশল বিস্ময়। এই প্রকল্পে ৪৮টি টানেল, ৫৫টি প্রধান সেতু এবং ৮৭টি ছোট সেতু রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট টানেলের দৈর্ঘ্য ১২,৮৫৩ মিটার। ১৯৬ নম্বর সেতুর উচ্চতা ১০৪ মিটার, যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার বেশি। এই প্রকল্পে পাঁচটি রোড ওভারব্রিজ এবং ছয়টি রোড আন্ডার ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নতুন এই লাইন প্রকল্পকে চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলি ভৈরবী-হরতকি, হরতকি-কাউনপুই, কাউনপুই-মুয়ালখাং এবং মুয়ালখাং-সাইরাং।
প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নতুন রেল প্রকল্পের দ্রুত সমাপ্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মিজোরামে সংযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য স্থানীয় পর্যটন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র শিল্পকে সহায়তা করা এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ খরচ কমানো। এটি মিজোরামের রাজধানী থেকে দেশের অন্যান্য অংশের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে। একই সাথে প্রয়োজনীয় সরবরাহের আরও ভালো উপলব্ধি এবং সমগ্র দেশে দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ নিশ্চিত করবে।