নতুন দিল্লি, ১৭ এপ্রিল: ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। নাহলে এখন যা আক্রান্ত তার দ্বিগুণ হয়ে যেত। শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। এক সাংবাদিক সম্মেলেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতর যে শতকরা হিসেব ভারতে রয়েছে, তা অন্যান্য করোনা বিধ্বস্ত দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। লকডাউনের আগে তিনদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছিল। তবে লকডাউনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন হতে ৬ দিনেরও বেশি সময় লাগছে। জাতীয় স্তরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের তুলনায় কম রয়েছে ১৯ রাজ্য ও কেন্দ্রশসিত অঞ্চলে। আরও পড়ুন-Lockdown 2.0: লকডাউনে ২০ তারিখের পর কী কী পরিষেবা চালু করছে সরকার? দেখে নিন এক ঝলকে
এই তালিকায় পড়ে কেরালা, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, চন্ডীগড়, লাদাখ, পুদুচেরি, দিল্লি, বিহার, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ইউপি, পাঞ্জাব, আসাম এবং ত্রিপুরার। মন্ত্রকের তথ্যানুসারে, দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত ও মৃত ৮০:২০ তে অবস্থান করছে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় রয়েছে সরকার। গুজরাট সরকারের উদ্যোগে জিবিআরসি-তে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের জিনের গঠন নিয়ে গবেষণা চলছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেনের জিনোমের পূর্ণাঙ্গ সিকুয়েন্স করা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু এই ভাইরাসের মধ্যে বহুবার মিউটেশন হয়েছে, অর্থাৎ ভাইরাস তার জিনের গঠন বদলেছে, তাই এর জিনোম সিকুয়েন্স করা বেশ জটিল ব্যাপারই ছিল। তার উপর বিটা-করোনাভাইরাসের পরিবারের সদস্য হলেও এই ভাইরাস অনেকটাই আলাদা। সার্স ভাইরাসের জিনের সঙ্গে মিল থাকলেও মিউটেশনের ফলে এর গঠন বদলে গিয়েছিল। তাই পূর্ণাঙ্গ জিনের গঠন বার করা একপ্রকার চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিজ্ঞানীদের কাছে।