বেঙ্গালুরু, ১৪ জানুয়ারি: প্যাকেটজাত মাছ নিয়ে মেট্রোতে উঠতে পারলেন না এক যাত্রী। মেট্রোরেলের সিকিউরিটি গার্ড প্যাকেটে মাছ রয়েছে জানতে পেরেই তাঁকে আর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি দিলেন না। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) নাম্মা মেট্রো স্টেশনে। গোটা ঘটনায় প্রথমে খানিকটা হকচকিয়ে গেলেও খুব বিরক্ত হয়েছেন পবন কুমার নামের ওই যাত্রী। তিনি বেঙ্গালুরুরই বাসিন্দা। অফিস ফেরতা মাছ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। একেবারে ঝোলা হাতে লোকজনকে শুঁকিয়ে বা দেখিয়ে নয়। একেবারে সিল করা প্যাকেটেই ছিল মাছ। কোনওরকম আঁশটে গন্ধর ছিটোফোটাও ছিল না। তবুও তাকে মেট্রোতে উঠতে দেওয়া হল না। গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে ট্যাক্সিতে ফিরলেন ভদ্রলোক।
তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেঙ্গালুরু মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ। মাছ নিয়ে যাওয়াতে কী সমস্যা আছে? আমি তো বাড়িতেই ফিরছিলাম। দরজা থেকেই আমায় আটকে দেওয়া হল। আগে কখনও এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। এটাতো একটা ধর্মনিরপেক্ষ জায়গা, তবে কেন এই পক্ষপাতদু্ষ্টতা? কই নিরামিশ খাবার নিয়ে গেলে তো মেট্রো আটকে দেয় না। তবে আমিশের বেলায় কেন বিচার? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এরপরই মেট্রোর তরফে উত্তর দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সিলড মাছ নিয়ে গেলে কোনও সমস্যা নেই। দেখতে হয় প্যাকেট থেকে কোনও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে কি না। না বেরলে অসুবিধা নেই। তবে এক্ষেত্রে সিলড প্যাকেট থাকা সত্ত্বেও কেন প্রবেশে অনুমতি মিলল না তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন-AGR Case: তিনমাসে কেন মেটেনি বকেয়া ঋণ, টেলিকম অপারেটরদের আদালত অবমাননার নোটিস ধরিয়ে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
এরপরেই সমাজকর্মী লিও স্লাধনা বলেছেন, আরে দই-ভাত থেকেও তো দুর্গন্ধ বেরোয়। এবার মানুষ কী খাবে তাও বুঝি ঠিক করে দেওয়া হবে? মানুষের খাদ্যাভ্যাস ঠিক করে দেওয়ার কাজ বন্ধ করুন। তবে অনেকেই মেট্রোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। মাছের গন্ধ যে আসলে দুর্গন্ধই তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ মেট্রোর মধ্যে সেই গন্ধে সহযাত্রীদের অসুবিধা হতেই পারে।