
নয়া দিল্লি, ২৫ জুন: হাজতবাসের দিন কি ঘনিয়ে এল পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহল চোক্সি (Mehul Choksi) -র? অ্য়ান্টিগা সরকারের কার্যকলাপ কিন্তু সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারতে ব্য়াঙ্ক জালিয়াতি করে গা ঢেকে দিয়ে বিদেশে পালানো শিল্পপতি তথা পঞ্জাব ন্যাশানল ব্য়াঙ্ক কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগায় আছেন। দেশের আদালতে অভিযুক্ত প্রমাণ হলেও মেহুলকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না তাঁর অ্য়ান্টিগা-র বৈধ পাসপোর্ট থাকায়।
কিন্তু অ্যান্টিগা সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় মেহুলের পাসপোর্ট বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে অ্যান্টিগার কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় মেহুলকে দেশে ফেরানোর পদক্ষেপ আটকে যায়। সে কারণেই ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয় সিবিআই এবং ইডি। অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাব। আমরা ভারত সরকারকে জানিয়েছি অপরাধীরও মৌলিক অধিকার রয়েছে। ওঁর নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হবে এবং ওঁকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এমন নয়, অর্থনৈতিক অপরাধে যুক্ত কোনও অপরাধীকে আমরা আশ্রয় দিচ্ছি। চোক্সির অধিকার রয়েছে আদালতে যাওয়ার এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের। কিন্তু আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আইনি প্রক্রিয়ার চালিয়ে উনি ক্লান্ত হয়ে পড়লেই ওঁকে হস্তান্তরিত করা হবে।''আরও পড়ুন-এবার মুসলিম যুবকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি দিলেন এই বিজেপি নেতা, কেন জানেন?
এমনকি মেহলুকে ভারতের কাছে প্রত্যপর্ণের ইঙ্গিতও দিয়েছেন অ্যান্টিগা-র প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনে। মেহলুর ভাগ্নে নীরব মোদিও জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত। নীরব মোদী এখন ব্য়াঙ্ক জালিয়াতে কাণ্ডে লন্ডনে হাজতবাস করছেন। পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্য়াঙ্কের সঙ্গে জালিয়াতি কাণ্ডে নীরব মোদি ও তাঁর মামা মেহুল চোস্কিকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছেন ইডি। মেহুলের নামে গত বছর রেড কর্নার নোটিশও জারি করেছিল ইন্টারপোল।
ভারতীয় পাশপোর্ট জমা দিয়ে দেওয়ায় মেহুলকে দেশে ফেরানো কঠিন হয়ে যায়। তার চেয়েও বেশি কঠিন ভারতে প্রতারণার মামলায় জড়ানো মেহুলকে নিয়ে অ্যান্টিগা সরকারের নরম মনোভাব। তবে ভারত সরকারের চাপে অবশেষে পিছু হটে সক্রিয় হচ্ছে অ্যান্টিগা সরকার। ২০১৭ সালের নভেম্বরে নাগরিকত্ব নিয়ে ক্যারিবিয়ান দেশ অ্যান্টিগায় আশ্রয় নেন মেহুল। চলতি বছর জানুয়ারিতে CBI-তাঁর ও নীরব মোদীর বিরুদ্ধে ১৩,৫০০ কোটি টাকার জালিয়াতির মামলা রুজু করে। চোক্সির বিরুদ্ধে গত বছর মে মাসে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। জারি হয়েছিল জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও।