
মিরাট, ৬ জুনঃ ড্রেনের মধ্যে ভাসছে এক বিকৃত দেহ। মুণ্ডুহীন অবস্থায় ওই দেহটি দেখে গা শিউরে ওঠে এলাকাবাসীর। তৎক্ষণাৎ তাঁরা খবর দেয় পুলিশে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মিরাটে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে খোদ মায়ের বিরুদ্ধে। মা-সহ পরিবারের আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ৫ জুন সকালে মিরাটের (Meerut) পারতাপুরে বাহাদুরপুর গ্রামের একটি ড্রেনের মধ্যে ভাসতে দেখা যায় মুণ্ডুহীন বিকৃত একটি দেহ। স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসীর তা প্রথম চোখে পড়ে। ভয়ানক ওই দৃশ্য দেখে তাঁরা খবর দেয় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ড্রেন থেকে মুণ্ডুহীন দেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহের হাতের মুঠোর মধ্যে মিলেছে একটি কাগজের টুকরো। তাতে লেখা একটি নাম, 'বিকাশ' এবং একটি ফোন নম্বর। সঙ্গে রয়েছে দুটি ২০ টাকার নোট। ওই নম্বরে যোগাযোগ করে পুলিশ। জানা যায়, কাগজে লেখা নাম, বিকাশের ফোন নম্বর সেটি। যুবকের বাড়ি সাধু কি নাগলি গ্রামে। নিহত নাবালিকাকে বিকাশ তাঁর প্রেমিকা হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন।
ড্রেন থেকে কিশোরীর মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার
বিকাশকে ডেকে পাঠানো হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে। পুলিশকে তিনি জানান, নিহত কিশোরীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের ঘোর আপত্তি ছিল এই সম্পর্কে। তাঁর মা, মামারা অশান্তি করতেন। দিন দুই তিন কয়েক আগেই মেয়েকে ফোনে বিকাশের সঙ্গে কথা বলতে দেখে ফেলেন তাঁর মা। তারপর কয়েকদিন কেটে গেলেও বিকাশ আর যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি প্রেমিকার সঙ্গে। যুবকের বক্তব্য শুনে পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে নিহতের মা এবং দুই মামার উপর। মা, দুই মামার এবং মামার এক ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কিশোরীর এমন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পিছনে পরিবারের হাত রয়েছে বলেই আশঙ্কা করছে পুলিশ।
মেয়েকে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
उत्तर प्रदेश के मेरठ में ऑनर किलिंग –
17 वर्षीय छात्रा आस्था की गला दबाकर हत्या। धड़ से सिर अलग करके लाश रजवाहे में फेंकी। पुलिस ने छात्रा की मां, भाई, ममेरे भाई, दोस्त हिरासत में लिए। पता चला है कि छात्रा कॉल पर एक लड़के से बात कर रही थी। फैमिली ने उसको देख लिया। लड़ाई हुई तो… pic.twitter.com/GHAjpyxdOR
— Hindu Gaurav (@HinduGauravPra1) June 6, 2025
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত কিশোরীর মুণ্ডু এখনও উদ্ধার করা যায়নি। একাধিক পুলিশ দল এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। এই ঘটনার আরও কেউ জড়িয়ে রয়েছে কিনা সেই উত্তর খোঁজার পাশাপাশি খুন কীভাবে করা হল তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।