(Photo Credits: Pixabay)

দিল্লি, ১৩ অগাস্ট: স্বাধীনতা দিবসে বন্ধ মাংসের দোকান (Meat Ban In 15th August)। গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাংসের দোকান বন্ধ থাকবে। ১৫ এবং ১৬ অগাস্ট বন্ধ থাকবে এই মাংসের দোকান। দেশের বেশ কয়েকটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে এই নির্দেশ জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, ১৫ এবং ১৬ অগাস্ট জন্মাষ্টমী। সেই উপলক্ষ্যে দেশের একাধিক প্রান্তে মাংসের দোকান বন্ধ থাকবে বলে পুর নিগমগুলির তরফে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস। ফলে স্বাধীনতা দিবস এবং জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে যে মাংসের দোকান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে, তা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।

আসাদউদ্দিন ওবেইসিও কি চাইছেন স্বাধীনতা দিবসে বন্ধ থাকুক মাংস বিক্রি?

হায়দরাবাদেও (Hyderabad) বন্ধ থাকছে ১৫ অগাস্ট মাংস বিক্রি। যে সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেন মিম প্রধান তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওবেইসি। তিনি বলেন, হায়দরাবাদ পৌর সংস্থার ওই নির্দেশ নির্মম এবং অসাংবিধানিক। যার একেবারেই ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন ওবেইসি।

স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে মাংসের দোকান খোলা বা বন্ধের সঙ্গে কী সম্পর্ক বলে প্রশ্ন তোলেন ওবেইসি। তিনি আরও বলেন, তেলাঙ্গানার ৯৯% মানুষ মাংস খান। তাঁরা আমিষ খেতে পছন্দ করেন। এই ধরনের সিদ্ধান্ত মানুষের স্বাধানীতা, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ভাবনায় গুরুতর আঘাত করে বলেও মন্তব্য করেন ওবেইসি।

ওবেইসির কথা

 

মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গাতেও বন্ধ থাকবে মাংস বিক্রি

হায়দরাবাদের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একাধিক জায়গায় মাংস বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে ১৫ এবং ১৬ অগাস্ট। যার মধ্যে রয়েছে সাম্ভাজিনগর, কল্যাণ-ডম্বিভালি, মালেগাঁও এবং নাগপুর। যা নিয়ে এনসিপির তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কেন ১৫ এবং ১৬ অগাস্ট  মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় মাংস বিক্রি বন্ধ করল বিজেপি সরকার, তা নিয়ে কড়া সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।

এমএনএস এবং কংগ্রেসের তরফেও মাংস বিক্রি বন্ধ নিয়ে জোর বিরোধিতা করা হচ্ছে। মানুষকে নিরামিষ খাওয়ানোর যে প্রচেষ্টা, তার সঙ্গে সামিল এই মাংস বিক্রি বনধের সিদ্ধান্ত। সাধারণ মানুষ যে সমস্ত অসুবিধায় ভুগছেন,তা থেকে নজর সরাতেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও কংগ্রেসের তরফে মত প্রকাশ করা হয়।

কী বললেন আদিত্য ঠাকরে

শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরেও মাংস বন্ধের বিরোধিতা করেন তীব্রভাবে। তিনি বলেন, 'স্বাধীনতা দিবসে আমরা কী খাব না খাব, তার সিদ্ধান্ত সরকার কেন নেবে। আমাদের বাড়িতে মাংস, চিংড়ি বা অন্য ধরনের মাছ রান্না হয়। তাই স্বাধীনতা দিবসেও আমরা আমিষ খাবারই খাব।' তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত যে মেনে নেওয়া হবে না, তা কার্যত স্পষ্ট করে দেন আদিত্য ঠাকরে।

শুনুন আদিত্য ঠাকরের বক্তব্য