দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: ‘ইতিহাস থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ পাকিস্তান ও চিনের পক্ষ থেকে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াই ই-র দুই দিনের পাক সফর শেষে রবিবার এক যৌথ বিবৃতি জারি হয়। মঙ্গলবার চিন পাকিস্তানের সেঅ যৌথ বিবৃত প্রত্যাখ্যান করল ভারত। কাশ্মীর সমস্যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বিবেচনা করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা উচিত। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার এই বিবৃতির বিরোধিতা করে পরিষ্কার বলেন, ‘‘এই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ অবান্তর। আমরা এই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করছি। জম্মু-কাশ্মীর প্রশ্নাতীত ভাবে ভারতের অবিচ্ছিন্ন অংশ।’’
দিন কয়েক আগেও কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছে বিদেশমন্ত্রক। অভিযোগ ছিল, ক্রমাগত উস্কানিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন পাক নেতারা। বিশ্ববাসীর কাছে জম্মু-কাশ্মীরের ভুল ও বিকৃত ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এ দিনের যৌথ বিবৃতি নিয়েও সেই কড়া মনোভাব বজায় রাখল বিদেশমন্ত্রক। শুধু এই মন্তব্যে বিরোধিতাই নয়, রবীশ কুমারের বক্তব্যে এদিন উঠে আসে ‘চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের’ প্রসঙ্গও। রবীশের দাবি, এই করিডর আসলে ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ। ১৯৪৭ সাল থেকে এই ভূখণ্ড অবৈধ ভাবে দখল করে রয়েছে পাকিস্তান।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। পাকিস্তান ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসরিয়াকে ফেরত পাঠিয়েছে, ছিন্ন করেছে সমস্ত বাণিজ্যিক যোগাযোগ। এখানেই শেষ নয় চিনের সঙ্গে একযোগে আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টাও করা হয়েছে ইসলামাবাদের তরফে। তবে সেখানে খুব একটা সুবিধে আদায় করতে পারেনি তারা। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে রাজি হয়নি কোনও পক্ষই। তবে এই আবহেই বেজিং-ইসলামাবাদের সখ্য ক্রমেই নতুন মাত্রা নিয়েছে। আর তাখেই এহেন বিবৃতি দিয়েছে, দুই দেশ।