নতুন দিল্লি, ২৮ জুন: আজ মাসিক অনুষ্ঠান মন কি বাতে (Mann Ki Baat) বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi )। বেলা ১১ টায় মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান 'মন কি বাত'-এর মাধ্যমে তিনি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "দেশকে অনেক সমস্যা ও সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে এটা নয় যে এই বছরটা খারাপ। সমস্যা থাকবে, সঙ্কট থাকবে, তবে এটা নয় যে ২০২০ সাল খারাপ। বাকি বছর খারাপ যাবে। সংকট ও সমস্যা দিয়ে বছর খারাপ হয় না।"
এক নজরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য:
- ঐতিহাসিকভাবে, ভারত সর্বদা উজ্জ্বল এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সব ধরণের বিপর্যয় ও চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত করেছে। এখন প্রতিবেশী দেশ অনেক কিছু করছে। অনেক কিছু সামলাতে হচ্ছে একসঙ্গে। তাঁর গৌরব ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা ভারতের একান্ত সংকল্প।
- যেন একটি বিপর্যয়ই যথেষ্ট ছিল না, দেশকে দিনের পর দিন চূড়ান্তভাবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিছু দিন আগে, আমাদের পূর্ব উপকূলকে সাইক্লোন আম্ফানের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, পশ্চিম উপকূলে ছিল সাইক্লোন নিসর্গ।
- ভারতের লক্ষ্য হল - একটি স্বনির্ভর ভারত। ভারতের ঐতিহ্য হল দৃঢ়তা এবং বন্ধুত্ব। ভারতের চেতনা হচ্ছে ভ্রাতৃত্ব। গৌরব ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা ভারতের একান্ত সংকল্প।
- অনেকে ভারতে হামলা চালিয়েছে। তবে কিছু হয়নি। সঙ্কট থেকে ভারত আরও শক্তিশালী হয়েছে। ভারত সবসময়ই সংকটকে সফলতায় পালটে দিয়েছে। সংকটের সময় আমাদের আগে এগিয়ে যেতে হবে। ১৩০ কোটি দেশবাসী এগিয়ে যাবে। আমার পুরো বিশ্বাস আছে। সংকট যতই বড় হোক, ভারত হারবে না। ভারত এই সংকটের সময় সবার পাশে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব সেটা বুঝতে পেরেছে। তাই ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই দেখেছে। যে চোখ তুলে দেখেছে তাদের কড়া জবাব মিলেছে। ভারত বন্ধুত্ব জানে। তবে উচিত জবাব দেওয়াও জানে।
- আমাদের বীর সেনারা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশে কোনও আঁচ লাগতে দেবে না তাঁরা। শহিদদের পুরেী দেশ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, ওদের প্রতি কতৃজ্ঞ। ঠিক তেমনি তাঁদর হারানোর কষ্ট পাচ্ছে। এটাই দেশের শক্তি।
- শহিদের মাতা-পিতারা বলছেন, যারা আছে তাদেরও সেনাতে পাঠাব। শহিদদের পরিবারের ত্যাগ পুজনীয়। ওই সংকল্প আমাদের পাথেয় করতে হবে। যাতে দেশ শক্তিশালী হয়, আত্ননির্ভর হয়।। এটাই আমাদের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞলী। লাদাখের জন্য সবাই বলছে লোকাল কিনবে।
- বন্ধুরা, স্বাধীনতার আগে প্রতিরক্ষা খাতে আমাদের দেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল। সেখানে প্রচুর পরিমাণে অর্ডিন্যান্স কারখানা ছিল। অনেক দেশ যারা তখন আমাদের চেয়ে পিছিয়ে ছিল, এখন আমাদের চেয়ে এগিয়ে। স্বাধীনতার পর আমার ডিফেন্স সেক্টরের লাভ নিতে পারিনি। তাই লোকালেন জন্য ভোকালই দেশ সেবা। যাই করুন সেটাই দেশসেবা। এই সেবা দেশকে মজবুত করবে। আমাদের দেশ যত মজবুত হবে ততই সারা বিশ্বে শান্তি আসবে। শক্তি দরকার সুরক্ষার জন্য। ভারত অখণ্ডতা, মিত্রতা, বন্ধুত্ব, এই ভাবে এগিয়ে যাবে।
- আমাদের সাধনা ও প্রচেষ্টা একই দিকে হওয়া উচিত ... আমাদের সীমানা সুরক্ষায় দেশের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে আমাদের প্রচেষ্টা করা উচিত। একটি স্বনির্ভর ভারত সত্যিই গভীরতম অর্থে আমাদের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবে।
- করোনার সঙ্কটের এই সময়ে দেশ আনলক পর্বে চলে গেছে। এই আনলক পিরিয়ডের সময় দুটি বিষয়ে গভীরভাবে মনোনিবেশ করতে হবে- করোনাকে পরাস্ত করা এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা এবং এটিকে উৎসাহ দেওয়া।