স্ত্রী এর হাত থেকে নিজের পরকীয়া লুকোতে এক দারুণ পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। স্ত্রী এর থেকে অগোচরে অফিসিয়াল ট্যুরের নাম করে বিদেশে বান্ধবীর সাথে মলদ্বীপের নীল সমুদ্রে জলকেলি করার প্ল্যান করেছিলেন ওই ব্যক্তি। মলদ্বীপে কিছুদিন বান্ধবীর সাথে ঘুরে এসে তাঁর মনে হয় যদি স্ত্রী তাঁর মলদ্বীপের ট্যুর সম্বন্ধে জানতে পেরে যায়। ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে তিনি পাসপোর্টের কিছু পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলেন। কিন্তু বিদেশ থেকে শহরে ফেরার পর বিমানবন্দরের অভিবাসন দপ্তর তাঁর কাছে বাকি পৃষ্ঠাগুলো সম্বন্ধে জানতে চায়। কিন্তু সেই ব্যক্তি তাদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে না পারলে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সাহার পুলিশ তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগে গেপ্তার করেছে। জেরায় তিনি জানিয়েছেন স্ত্রী এর থেকে পরকীয়ার খবর লুকিয়ে রাখতে ওই স্ট্যাম্প যুক্ত কাগজ গুলো তিনি ছিড়ে ফেলেছিলেন।
সাহার থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে মলদ্বীপে গিয়েছিলেন, কিন্তু বাড়িতে বলেগিয়েছিলন তিনি অফিসিয়াল কাজে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। বিদেশে পৌছানোর পর ফোনে সেই ব্যক্তিকে না পাওয়ায় তার স্ত্রীর সন্দেহ বেড়ে যায়।এরপর তাঁর স্ত্রী বারবার তাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেন, তখন একটু ঘাবড়ে গিয়ে লোকটি তার বিদেশ সফর কাটছাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। তখনই মালদ্বীপের গল্প গোপন রাখতে তিনি তার পাসপোর্ট থেকে কয়েকটি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাই পৌঁছেছেন। কিন্তু অভিবাসন কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট পরীক্ষা করার সময় দেখা যায় , পাসপোর্ট থেকে ৩-৬ নং পৃষ্ঠা এবং ৩১ থেকে ৩৪ নং পৃষ্ঠা গুলি ছিড়ে ফেলা হয়েছে। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে পাসপোর্টের পাতা ছিড়ে বিদেশ ভ্রমণ করার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করে সাহার থানার পুলিশ।
অভিবাসন দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন "তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তার পাসপোর্টের পৃষ্ঠাগুলি ছিঁড়ে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ এবং অভিবাসন বিভাগের সাথে প্রতারণার অপরাধ করেছেন। এছাড়া পুলিশ সূত্রে এও জানা গেছে যে ওই ব্যক্তি জানতেন যা পাসপোর্ট থেকে পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলা অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। যেহেতু ভারত সরকার পাসপোর্ট প্রদান করে , তাই এটি একটি সরকারী সম্পত্তি হিসাবে ধরা হয়। তাই সরকারী সম্পত্তির ক্ষতি করা একটি অপরাধমূলক কাজ।