নিহত তরুণী তনু গুর্জর (ছবিঃX@NDTV)

নয়াদিল্লিঃ প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শেষ। বাড়ে আসতে শুরু করে দিয়েছেন আত্মীয়স্বজনরা। হাতে আর একটা দিন মাত্র। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই দিন আসার আগেই বিয়ের(Wedding) কনেকে গুলি(Fire) করে খুন(Murder) করল বাবা। হ্যাঁ, নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চাওয়ায় নিজের হাতে মেয়েকে খুন করে বাবা। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গোয়ালিয়রের(Gwalior) গোলা মন্দির এলাকায়। নিহত তরুণীর নাম তনু গুর্জর। খুনের ঘটনার কিছু ঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তনু। যেখানে তাঁকে বলেতে শোনা যায়, ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে পরিবার।

বিয়ের আগের রাতে মেয়েকে খুন বাবার

৫১ সেকন্ডের ভিডিয়োতে তনু বলেন, ‘আমি ভিকিকে বিয়ে করতে চাই। আমার পরিবার প্রথমে রাজি হলেও পরে বেঁকে বসে। তারা আমাকে প্রতিদিন মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। যদি আমার কিছু হয়, তাহলে আমার পরিবার দায়ী থাকবে। ’ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে এই ভিডিয়ো। ভাইরাল ভিডিয়োটি তনুর বাবা মহেশ গুর্জরের চোখে পড়তেই মেজাজ হারায় সে। বাড়িতে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। অন্যদিকে ভাইরাল ভিডিয়োটি পুলিশের চোখে পড়তেই সুপারিনটেনডেন্ট ধর্মবীর সিং-এর নেতৃত্বে তনুর বাড়িতে ছুটে যান পুলিশ আধিকারিকরা। ততক্ষণে বাড়িতে পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছে মহেশ। এমন সময় পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে ওয়ান-স্টপ সেন্টারে যাওয়ার অনুরোধ জানান তনু। আর তখনই মেজাজ হারিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মেয়েকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মহেশ। শুধু তাই নয়, মহেশের সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় তনুর খুড়তুতো ভাই রাহুল। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তনু। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মহেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় রাহুল। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

বিয়ের একদিন আগে মেয়েকে গুলি অরে খুন বাবার