মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত এক ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফারকে জামিন দিল গুজরাট হাইকোর্ট। অভিযুক্ত ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি নাকি ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী মডেলকে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু ৫৫ বছর বয়সী সেই ফটোগ্রাফারের ক্ষমতা পরীক্ষা করার সময় দেখা যায় তিনি তিনবার সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ এ অভিযুক্ত ফটোগ্রাফারকে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। ওই তরুণী গুজরাট ইউনিভার্সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি বলেন- অভিযুক্ত তাকে মডেলিং অ্যাসাইনমেন্টের জন্য প্রলুব্ধ করার পরে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে বিজয় ক্রসরোডের কাছে একটি হোটেলে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। ধর্ষনের পাশাপাশি ধানকের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ভয় দেখানোরও মামলা হয়েছে।পর্যবেক্ষণের পর তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে মামলা করা হয়েছে।গত ২ মার্চ নগর দায়রা আদালত ধানককে জামিন নাকচ করে।
এরপরে তার আইনজীবী এফ এন সোনিওয়ালা আদালতে দাখিল করেছেন যে একজন নপুংসক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কারন তদন্তের অংশ হিসাবে পুলিশ বিভিন্ন সময়ে তার বীর্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন ভাবে মেডিকেল পরীক্ষা করেছে কিন্তু প্রতিবারের সেই প্রচেষ্টা বিফল হয়েছে, এমনকি মেডিকেল রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছিল যে বীর্যপাত বা বীর্যপাতের কোন চিহ্ন ছিল না।
আইনজীবী আরও বলেন, সেই তরুণী মডেল ধানকের কাছে টাকা চেয়েছিল, কিন্তু সে টাকা না দেওয়ায় তার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। ১০০০০ টাকার ব্যক্তিগত মুচলেকা এবং সম পরিমাণের জামিনের অনুপাতে বিচারপতি সমীর ডেভ এই ব্যক্তিকে জামিন দিয়েছেন।