সীমা হায়দার (ছবিঃX)

নয়াদিল্লিঃ পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) পরই ভারত (India)থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) চলে যাওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত পাক নাগরিকদের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে চলে যেতে বলা হয়। যখন সীমান্তে পারাপারের হিড়িক পড়ে তখন বারেবারে আলোচনায় উঠে আসেন সীমা হায়দার বলে পাকিস্তানি মহিলার নাম। নিজেকে ভারতের পুত্রবধূ হিসেবে দাবি করেন তিনি। এবার তাঁর বাড়িতে হইচই কাণ্ড। সীমার বাড়িতে ঢুকে পড়ল এক ব্যক্তি।

ফের শিরোনামে সীমা হায়দার, কী ঘটল আবার?

জানা গিয়েছে, শনিবার উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরে সীমার বাড়িতে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। বাড়িতে ঢুকেই সীমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। গলা টিপে ধরা হয় তাঁর। মারা হয় চড়। সীমার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। এরপর ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে,ধৃত ব্যক্তির নাম তেজাস। গুজরাটের বাসিন্দা। পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, স্বামী সচিন মিনা ও সীমা তাঁর উপর কালাজাদু করেছেন। সেই কালাজাদুর প্রভাবেই গুজরাট থেকে উত্তরপ্রদেশে ছুটে এসেছেন তিনি। তবে পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। জেরায় বেশকিছু অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছেন তিনি। অন্যদিকে, পাকিস্তানি নাগরিক সীমা ভারত ছাড়তে নারাজ। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে ভিডিয়োবার্তার মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অমলাইন গেম খেলতে গিয়ে স্বামী সচীন মিনার সঙ্গে আলাপ হয় সীমার। তবে সীমা বিবাহিত ছিলেন। ২০২৩ সালে স্বামীকে ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন সীমা। বিয়ে করেন সচীনকে। সম্প্রতি তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও হয়েছে।

পাকিস্তানি মহিলার বাড়িতে ঢুকে গলা টিপে ধরল এক ব্যক্তি,তারপর…