
একদিকে মিরাটে যখন মার্চেন্ট নেভি অফিসারের নৃশংস খুনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ, তখন অন্যদিকে জয়পুরেও (Jaipur) ঘটল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড। স্বামীকে খুন করে দেহ লোপাটের জন্য দেহে ধরিয়ে দেওয়া হল আগুন। আর এই ঘটনাতেও গ্রেফতার মৃতের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক যুবক। গত শনিবার, ১৫ মার্চ ঘটনাটি ঘটেছিল জয়পুরের মুহানায়। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হয়।
পরকিয়া সম্পর্কের শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ধন্নালাল ও তাঁর স্ত্রী গোপালী দেবী দীর্ঘদিন ধরেই সাঙ্গানেরে এলাকায় থাকতেন। পেশায় ধন্নালাল ছিলেন সবজি বিক্রেতা। তাঁদের চার সন্তান রয়েছে। যারমধ্যে বড়মেয়ের বছরখানেক আগে বিয়ে হয়েছে, আর বাকিরা সকলেই নাবালক। অভিযোগ, বিগত ৩-৪ বছর ধরে সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়। প্রতিবারই তাঁদের পরিবারের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটেও যেত। এরমধ্যে মাসদেড়েক আগে একটি দুর্ঘটনার জেরে পায়ে চোট পান। যে কারণে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি।
স্বামীর সন্দেহই সত্যি প্রমাণিত হয়
এদিকে তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ গোপালী দেবী কাশিদো ওয়ালি গলিতে অবস্থিত একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। তবে ধন্নালালের সন্দেহ ছিল ওই দোকানের মালিক দীনদয়ালের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। আর গত শনিবার সেই সন্দেহেই আচমকা দুপুরের দিকে দিনদয়ালের দোকানে চোট পাওয়া পা নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে সেখানে পৌঁছান। আর তারপরেই দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপরেই তিনজনের মধ্যে বচসা হয়।
পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় ধন্নালালকে
পুলিশসূত্রে খবর, এই বচসার মাঝেই দীনদয়াল জোড় করে ধন্নালালকে প্রথমতলায় নিয়ে যায়। সেখানে লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় মারা হয়। তারপর তার দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর দেহ লোপাটের জন্য একটি বস্তায় ধন্নালালের দেহ ভরে বাইকে করে ভেরুচি মন্দিরে পেছনে নিয়ে যায়। বাইকের পেছনে গোপালী দেবী বস্তাটি কোলে নিয়ে বসেছিল। স্থানীয় একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরাতেও সেই দৃশ্য দেখা যায়। এরপর মন্দিরে পেছনে দেহটি নিয়ে গিয়ে আগুনে পুরিয়ে দেয় অভিযুক্তরা।
মৃতের পরিবারের সদস্যের বক্তব্য
#WATCH | Rajasthan: Man allegedly murdered by his wife and lover in Jaipur's Muhana |
Devinarayan, victim's relative, says, " He is my uncle. he has been having issues with his wife for the last 3-4 years, family tried to make them understand but to no avail. One and half… pic.twitter.com/hDentLyKkr
— ANI (@ANI) March 20, 2025
গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত
ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ধন্নালাল। তারপরেই পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলে শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে সম্প্রতি দেহাংশ উদ্ধার হয়। তারপরেই বৃহস্পতিবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।