ভিনরাজ্যের শ্রমিক (Photo Credits: IANS)

মুম্বই, ৩০ মার্চ: মারণ ভাইরাস করোনাকে ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। জনতা কার্ফিউর এক দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউন ঘোষণা করনে। এই পরিস্থিতিতে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা (migrant labourers) বাড়ি ফেরার সুযোগ পাননি। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন। যানবাহন সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে পায়ে হেঁটেই প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। সেই ছবি সংবাদ মাধ্যমের বদান্যতায় আমাদের নজরে এসেছে। না খেয়ে মাইলকে মাইল হাঁটছেন কতলোক। দিল্লি আনন্দ বিহার বাসস্ট্যান্ডে শ্রমদীবী মানুষের ভিড় দেখে অনকেই বাকরুদ্ধ হয়েছেন। কেউ বা ভয় পেয়েছেন এবার সরকার কী করে কোভিড১৯ কে রুখবে। কেউ কেউ সরকারের নিন্দাও করেছেন।

লকডাউন ঘোষণার আগে অন্তত এই শ্রমজীবী মানুষের জন্য ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত্ ছিল কেন্দ্রের। উঠেছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এরমধ্যেই সোমবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দিলেন, ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের খাবার ও বাসস্থানের জন্য ২৬২ টি রিলিফ ক্যাম্প তৈরি করেছে তাঁর সরকার। আপাতত সেখানে থাকতে পারেন ভিনরাজ্যের এই শ্রমিকরা। আগেই মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছিলেন, ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের মহারাষ্ট্র ছাড়তে হবে না। তাঁদের গ্রাসাচ্ছানের ব্যবস্থা করবে মহারাষ্ট্র সরকার। সোমবার এক টুইট বার্তায় উদ্ধব ঠাকরে জানান, গৃহহীন মানুষগুলোর থাকা খাওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে তাঁর সরকার। এই ২৬২-টি রিলিফ ক্যাম্পে প্রায় ৭০ হাজার ৩৯৯জন ভিনরাজ্যের শ্রমিক থাকতে পারেন। এই বিপর্যয়ের দিনে গৃহহীন মানুষগুলোকে পেটের খাবার ও মাথার ছাদ দেওয়া হবে। আরও পড়ুন-Air India Ferrying Medical Equipment: করোনা রুখতে লকডাউন, চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার কার্গো বিমান

কেননা রবিবার বিভিন্ন রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েচে তারা যেন সীমানা বন্ধ করে রাখে। কেননা ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া। এমন চলতে থাকলে করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে না। শুধু তাই নয়, এই আইন ভঙ্গকারীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের বন্দোবস্ত করতে হবে সেই সব রাজ্যকে। তাঁর ‘মন কি বাত’ ভাষমে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশকে এই সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচাতে তাঁকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, আমরা নিশ্চই এই যুদ্ধে জিতব।