রাওয়া, ২৮ জুলাইঃ রাতে ফোনে পর্ন ভিডিয়ো দেখে পাশে ঘুমন্ত বোনকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠল নাবালক দাদার বিরুদ্ধে। ৯ বছরের মেয়ের খুনের প্রমাণ লোপাটে ছেলেকে সাহায্য করলেন খোদ মা এবং দুই দিদি। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাওয়া জেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য। কিশোরীকে ধর্ষণ, খুন, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে ১৩ বছরের অভিযুক্ত যুবক, তার মা এবং দুই দিদিকে (বয়স যথাক্রমে ১৭ এবং ১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৪ এপ্রিলের ঘটনা প্রসঙ্গে রাওয়া পুলিশ সুপার বিবেক সিংহ জানাচ্ছেন, ঘটনার দিন রাতে বোনের পাশে শুয়েছিল অভিযুক্ত দাদা। রাতে শুয়ে ফোনে পর্ন ভিডিয়ো দেখে যৌন তাড়নার বশে বোনকেই ধর্ষণ করে সে। বোন সকলকে সেই কথা জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করে অভিযুক্ত। পরের দিন সকালে মাকে গোটা ঘটনাটি জানায় ছেলে। মা দেখেন, মেয়ে তখনও জীবিত রয়েছে, মৃদু শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। আরও একবার বোনের শ্বাসরোধ করে দাদা। ততক্ষণে তাদের দুই দিদিও ঘুম থেকে উঠে গিয়েছে। মা এবং তিন ছেলে মেয়ে মিলে গোটা ঘটনায় পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্যে বিছানার স্থান পরিবর্তন করে দেহ সহ বিছানাটি বাড়ির উঠোনে পেতে দেয়। যাতে পুলিশের মনে হয়, কোন বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। এমনকি তারা দেহ নিয়ে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে দেহ ফেরানো হলে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফাঁস হয় মৃত্যুর কারণ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা হয়, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে কিশোরীকে।
পুলিশ ঘটনার অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত শুরু করেন। পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। মা এবং তার তিন ছেলেমেয়ের বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাদের তিনজনকেই পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জেরায় অভিযোগ স্বীকার করে তিন অভিযুক্ত।