লুধিয়ানা, ২৮ জুলাই: বাড়িতে বকুনি খেতে হবে বলে রাস্তার এক কুকুর তাকে কামড়েছে, এই কথাটা কাউকে জানায়নি ১১ বছরের পঞ্জাবের লুধিয়ানার কিশোর, নাম অর্জুন। যার ফল হল মর্মান্তিক। বাড়িতে না জানানোয় কোনওরকম চিকিতসা ছাড়াই সে মারা গেল জলাতঙ্কে (rabies)। কুকুড়ে কামড়ানোর ২০ দিন পর ১১ বছরের সেই ছেলেটি জলাতঙ্কে মারা যায়। ক দিন ধরেই ছেলেটি অস্বাভাবিক আচরণ করেছিল, গলার স্বরও পরিবর্তন হয়ে যায় তার। গ্রামের মানুষরা ছেলেটির পরিবারকে ওঝার কাছে গিয়ে ভূত ঝারার কথা বললে, সেখানে ছেলেটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাতে কিছু না হওয়ায় গত ২৫ জুলাই ছেলেটিকে তার বাড়ির লোক হাসপাতালে ভর্তি করেছিল।
সেই সময় তার আচরণ অনেকটা কুকুরের মত হয়ে গিয়েছিল বলে তার বাবা জানায়। শারীরিক পরীক্ষার পর দেখা যায় ছেলেটির জলাতঙ্ক হয়েছে। মৃত্যুর ঠিক আগে ছেলেটি কাঁদতে কাঁদতে তার বাবা-মাকে জানায় দিন কুড়ি আগে তাকে কুকুর কামড়েছিল। কিন্তু বকা খেতে হবে বলে কিছু জানায়নি। ততক্ষণে অবশ্য অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। ডাক্তাররা চেষ্টা করলেও, হাসপাতালে ভর্তি করার দিনই ছেলেটি জলাতঙ্কের কারণে মারা যায়। খুব সম্ভবত ছেলেটি বিকেলে খেলতে যাওয়ার সময় কুকুরের কামড় খেয়েছিল।
লুধিয়ানায় গত ৬ মাসে ৩ হাজার জনকে কুকুরকে কামড়েছে। জানুয়ারি কুকুড়ে কামড়ে হাসপাতালে আশার সংখ্য়া ছিল ৮৯৪, তার পরের মাসে ৮০০, মোট ৩৩৬ ও ৩১৫ জন যথাক্রমে মার্চ ও এপ্রিলে। মে মাসে ২৪৫ জন ও ৪৮৫ জন জুনে কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে আসেন।