(Photo Credits: PTI)

নয়াদিল্লি, ২ মে:  ১৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। এই নির্দিষ্টি সময়ে পূর্ববর্তী লকডাউনের মতই সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য বন্ধ থাকবে বিমান, ট্রেন এবং রাস্তায় যানবাহন পরিষেবা। শপিং মল, স্কুল, থিয়েটার, রেস্তোরাঁ এবং বারও বন্ধ থাকবে। যদিও লকডাউন ৩.০-তে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে সরকার।করোনাভাইরাসের প্রকোপের উপর ভিত্তি করে রেড, গ্রিন, অরেঞ্জ জোনে ভাগ করা দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলা। জোনের উপর ভিত্তি করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। লকডাউন ৩.০-তে কী কী খোলা থাকবে এবং কী কী বন্ধ থাকবে, সেটি দেখে নিন একনজরে।

দেশজুড়ে ৩.০-তে কী কী বন্ধ থাকবে?

  • আন্ত:রাজ্য সড়ক পরিবহন, রেল, বিমান এবং মেট্রো
  • সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক-জমায়েত বন্ধ
  • জিম, শপিং মল, বার, হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ
  • অত্যাবশকীয় কাজ ছাড়া সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত রাস্তায় বেরোনো

রেড জোনে কী কী বন্ধ থাকবে?

  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ এবং জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো যাবে না
  • ওপিডি এবং মেডিকেল ক্লিনিক

কন্টাইনমেন্ট জোনের বাইরে:

  • ট্যাক্সি, রিকশা, বাস, সেলুন, বিউটি পার্লার
  • এছাড়া দেশজুড়ে যে যে পরিষেবা বন্ধ সেগুলোও বন্ধ থাকবে এই জোনে

কন্টাইনমেন্ট জোনের বাইরে রেড জোনে কী কী পরিষেবা খোলা থাকবে?

  • অনুমতি নিয়ে বিশেষ প্রয়োজনে রাস্তায় বেরোনো যাবে
  • কৃষিকাজের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে
  • মৎস্যচাষ এবং পশুপালনের উপর ছাড়
  • ব্যাঙ্ক, নন-ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বা এনবিএফসি, বীমা, মূলধন বাজার কার্যক্রম এবং ঋণ সমবায় সমিচি
  • বিদ্যুৎ, জল, সাফাই, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টেলি যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু থাকবে
  • বাণিজ্যিক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা
  • ওষুধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত পরিষেবা এবং প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন
  • সামাজিক দূরত্ব রেখে পাট শিল্প, আইটি হার্ডওয়ার উৎপাদন এবং প্যাকেজিং উৎপাদন ইউনিটে অনুমোদন

অরেঞ্জ জোনে কী কী পরিষেবা খোলা থাকবে?

  • রেড জোনে যা অনুমোদন দেওয়া রয়েছে, অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য সেগুলি
  • আন্ত:জেলা যানবাহন চলাচল
  • চারচাকার যানবাহনে ২জন যাত্রী নিয়ে চলতে পারে

কী কী পরিষেবা বন্ধ?

  • অনুমতি ছাড়া জেলার মধ্যে কোনও বাস চলাচল করতে পারবে না

গ্রীন জোনে কী কী পরিষেবা বন্ধ থাকবে?

  • দেশজুড়ে যেসমস্ত জিনিসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি
  • বাস পরিষেবা চালু থাকবে, কিন্তু ৫০ শতাংশর বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না।