Ladakh Violence (Photo Credit: X)

Ladakh Curfew: শান্তিপ্রিয় সুন্দর লাদাখ এখন একেবারে থমথমে। পুলিশ, সেনাবাহিনীর ভারী বুটের শব্দের মাঝে লাদাখবাসী ঘরবন্দি। বিখ্যাত সমাজকর্মী-পরিবেশবিদ সোনম ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) গ্রেফতারির পর লে, লাদাখের পরিস্থিতি একেবারে থমথমে। লাদাখের লে শহরে টানা চতুর্থ দিন কার্ফিউ জারি থাকল আজ শনিবারও। পরিবেশ আন্দোলন কর্মী সোনম ওয়াংচুককে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (NSA)-এ আটক করার পর থেকেই প্রশাসন টহল ও তল্লাশি আরও কড়া করেছে। সোনমের গ্রেফতারি নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও নতুন করে অশান্তি হয়নি। লাদখ প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় লাদাখে নতুন কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। তবু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর কবিন্দর গুপ্ত রাজভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকছেন, এরপরেই কারফিউ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। গতকাল, শুক্রবারই লাদাখে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আটক ৫০, জারি ১৪৪ ধারা

সংবেদনশীল এলাকায় পুলিশ ও আধাসেনার টহল চলছে, পাশাপাশি দাঙ্গায় জড়িতদের ধরতে তল্লাশিও বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০ জনেরও বেশি আটক হয়েছে। কার্গিল সহ লাদাখের অন্যান্য শহরেও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

দেখুন কী বলছে লাদাখ প্রশাসন

দেখুন খবরটি

কী অভিযোগ সোনম ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে

শুক্রবার গভীর রাতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানায়, ওয়াংচুকের একাধিক উত্তেজক বক্তব্যের ফলেই বুধবার লে শহরে হিংসা ছড়ায়। সেই হিংসায় চারজনের মৃত্যু হয় এবং বহু মানুষ আহত হন। বক্তব্যে তিনি নেপালের আন্দোলন ও আরব বসন্তের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রশাসনের দাবি, লে-র মতো শান্তিপ্রিয় শহরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ওয়াংচুককে আটক করা জরুরি হয়ে পড়ে।