Layoffs 2025: দেশের চাকরি বাজারে কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক। ক'মাস আগে যেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যাচ্ছিল, এবার সেটা ঢুকে পড়েছে আমাদের দেশেও। বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি একের পর এক কর্মী ছাঁটাই করছে। কদিন আগেই খবরে প্রকাশিত হয়, ইন্টেল ছাঁটাই করতে চলেছে প্রায় ২৫,০০০ কর্মী। এদিন আবার টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) জানাল, তারা তাদের বিশ্বব্য়াপি ওয়ার্ক-ফোর্স থেকে ২ শতাংশ কমিয়ে দিচ্ছে। ট্রান্সফরমেশন ও নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের জন্য ২০২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে টিসিএস। গত কয়েক মাসে মাইক্রোসফট অর মধ্যেই ১০,০০০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। ইনফোসিস জানিয়েছে, এই বছর কোনো বেতন বৃদ্ধি হবে না। দেশের বেশিরভাগ স্টার্টআপ সংস্থাগুলিও নতুন নিয়োগ কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের এক কোটিরও বেশি চাকরিপ্রার্থী এখন সরকারী চাকরির জন্য ঝুঁকছেন। ফলে প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। কিন্তু সরকারি চাকরি নিয়ে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব চলছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রের অবস্থায় ভালও নয়।
দেশে বেসরকারী ক্ষেত্রে চাকরি নিয়ে হতাশা বাড়ছে
বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের বেসরকারী ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সংস্থায় বন্ধ হয়েছে বেতন বৃদ্ধি। এই ধাক্কা সবচেয়ে বেশি এসে পড়েছে দেশের তরুণ প্রজন্মের উপর। যাঁরা চাকরির স্বপ্ন নিয়ে বছরভর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দেখুন খবরটি
TCS is laying off 12,000 employees. The shift is happening faster than we realise. pic.twitter.com/qOYeXLkdAJ
— Trendulkar (@Trendulkar) July 27, 2025
এখন কী উপায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছাঁটাই, বেতন না বাড়া, নিয়োগ বন্ধ হওয়া সংক্রান্ত বিষয়ের এই ধাক্কা শুধু অর্থনৈতিক নয়, সামাজিকভাবে গভীর প্রভাব ফেলতে চলেছে। তরুণদের হতাশা বাড়ছে, পরিবারে চাপ বাড়ছে। তবে বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকে—তার মধ্যে আছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, স্টার্টআপে আত্মনির্ভর উদ্যোগ, নতুন ক্ষেত্রের সন্ধান (ডিজিটাল মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্স)।