Lalu Prasad Yadav and Tej Prasad. (Photo Credits: X)

পটনা, ২৫ মে: বিহার বিধানসভা ভোটের মুখে বড় সিদ্ধান্ত আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav)। নিজের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদব (Tej Pratap Yadav)-কে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা ও দল থেকে বহিষ্কার করার কথা জানালেন লালু। তেজ প্রতাপের সামাজিক জীবন-কাজকর্ম পরিবার ও দলের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মানানসই নয় বলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় সিদ্ধান্তের কথা পোস্ট করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ। লালু জানালেন, তিনি তার বড় ছেলে তেজ প্রতাপকে তার পরিবার থেকে বহিষ্কার ও দল থেকেই ৬ বছরের জন্য নির্বাসিত করলেন। এবার থেকে তেজ প্রতাপ আর তার পরিবার বা আরজেডি-র কোনও কাজকর্মে থাকতে পারবেন না। তেজ প্রতাপ ওর ব্যক্তিগত জীবনে ভাল-মন্দ সব নিজেই সামলাবে, কোনও দায় তাদের থাকবে না। ওর সঙ্গে যারা সম্পর্ক রাখবে তারা সবাই যেন নিজের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে নেয়। আমি সবসময়ই মনে করি, যারা জনজীবনে আছেন, তাদের ভুল হলে তা সবার সামনে বলা উচিত। আমাদের পরিবারের যারা দায়িত্বশীল, তারা এই ধারণা মেনে চলেছে।" তেজ প্রতাপকে আরজেডি থেকে ৬ বছরের জন্য নির্বাসিত করার কথা জানিয়ে দিয়েছি দল।

তেজ প্রতাপের আচরণে ক্ষুব্ধ লালু

লালু সাফ জানালেন, " ব্যক্তিগত জীবনে নৈতিক মূল্যবোধ উপেক্ষা করলে আমাদের সামাজিক ন্যায়ের জন্য সম্মিলিত লড়াই দুর্বল হয়ে পড়ে। আমার বড় ছেলের কর্মকাণ্ড, জনসমক্ষে তার আচরণ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা ও ব্যবহার আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।"

দেখুন ঠিক কী লিখলেন লালুপ্রসাদ যাদব

নীতীশের মন্ত্রিসভায় রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন তেজ প্রতাপ

বিহারে মহাজোটের সরকারে নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য, বন এবং পরিবেশের মত মন্ত্রক সামলেছিলেন তেজ প্রতাপ। সেই মন্ত্রিসভায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডেপুটি ছিলেন তেজপ্রতাপের ভাই তথা লালুর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব।

নিজের ১২ বছরের পুরনো প্রেমের কথা ফাঁস করেছিলেন তেজ প্রতাপ

মলদ্বীপে ঘুরতে যাওয়া তেজ প্রতাপ ফেসবুকে এক মহিলার সঙ্গে ছবি দিয়ে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ১২ বছর ধরে তিনি অনুষ্কা যাদবের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন। পরে অবশ্য তিনি সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন। ২০১৮ সালে তেজ প্রতাপ বিয়ে করেন ঐশ্বর্য রাই নামের বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নাতনিকে। ২০২২ সালে তেজ প্রতাপ ও ঐশ্বর্যার মধ্যে বিবাদের জল আদালতে গড়ায়। তেজ প্রতাপকে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে অবিযোগ করে ডিভোর্সের মামলা করেছিলেন স্ত্রী ঐশ্বর্যা। তেজস্বী যাদবের থেকে বছর দুয়েকের পর তেজ প্রতাপের আচরণ ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা দলকে মাঝেমাঝেই অস্বস্তিতে ফেলে। বিহার রাজনীতির খবর রাখা মানুষরা বলেন, লালুর ছোট ছেলে তেজস্বী যদি আরজেডি-র সম্পদ তাহলে তাঁর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ অবশ্যই বড় বোঝা।