পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছেলেকে দেখতে ২০১৭ সালে গিয়েছিলেন কুলভূষণ যাদবের মা ও তাঁর স্ত্রী। (Photo Credits: IANS)

নয়া দিল্লি, ১৭ জুলাই: Kulbhushan Jadhav Case- কুলভূষণ যাদব মামলায় আজ রায় ঘোষণা করতে চলেছে আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত (International Court of Justice,ICJ)। আজ, বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬.৩০টা নাগাদ নেদারল্যান্ডস এর হেগ-এ মামলার রায় দেবেন বিচারপতি আব্দুলওয়াকি আহমেদ ইউসুফ (Abdulqawi Ahmed Yusuf)। প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পাক সেনা আদালত।

২০১৬-র মার্চে গ্রেফতার করা হয় ভারতীয় কূটনীতিক কুলভূষণকে। তারপর ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। পাক আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জানায় ভারত। আরও পড়ুন-বিচারপতিকে “মাই লর্ড” “ ইওর অনার” সম্বোধনে নিষোধাজ্ঞা জারি করল রাজস্থান, ব্যাপারটা কী?

আজকের এই রায়ের ওপর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অনেক চাপানউতোর অপেক্ষা করছে। আন্তর্জাতিক আদালত যদি কুলভূষণ য়াদবের পক্ষে রায় দেয় তাহলে পাকিস্তান সেই রায় মেনে নেয় কি না সেটা দেখার। ভারতের দাবি, মিথ্যে মামলা সাজিয়ে ফাঁসানো হয়েছে কুলভূষণকে। অন্যদিকে, ইসলামাবাদের জেদ তারা কুলভূষণকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ভারতকে শিক্ষা দেবে।

কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা বৈঠকের শর্তাবলী লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে দিল্লি। তাঁকে যে জেলে বন্দি করা হয়েছে, তা পাক সরকারের তরফে যথা সময়ে জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ জানায় ভারত। মামলাটি আরও খতিয়ে দেখতে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক আদালতের ১০ সদস্যের বেঞ্চ। তার কাছ থেকে জোর করে জবানবন্দি আদায় করেছে পাক সেনা। এদিকে, কুলভূষণকে চর প্রমাণ করতে পাকিস্তান যেসব যুক্তি দিয়েছিল তার অধিকাংশই খারিজ করেছে আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত। পাশাপাশি আদালত এও জানিয়েছেন, যতক্ষণ না আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালতের রায় বেরোচ্ছে ততক্ষণ কুলভূষণের ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ বালোচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয় কুলভূষণকে। এমনটাই দাবি পাক সেনার। ইরান থেকে পাকিস্তান ঢোকার পরই নাকি তাকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, ভারতের দাবি ব্যবসার কাজে ইরান গিয়েছিলেন কুলভূষণ। তাঁকে সেখান থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে পাক সেনা। তালিবান জঙ্গিদের দিয়েই ওই কাজ করে পাক সেনা।