কর্ণাটকে আরএসএসকে (RSS) নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক গান্ধী। যদিও হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনকে সরসারি নিষিদ্ধ না করা হলে তাঁদের কর্মসূচীর ওপর লাগাম টানতে চেয়েছিল কর্ণাটক সরকার। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যে মধ্যে কোনও সরকারি সম্পত্তি বা প্রাঙ্গনে ১০ জনের বেশি জমায়েত হলে আগাম অনুমতি বাধ্যতামূক। সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই নিয়ে কর্ণাটকে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে।

খাড়গের পাশে অখিলেশ

এদিকে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা পক্ষে সমর্থন দেখিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তাঁর মতে, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে যদি বিজেপি অনুপ্রেরণা ভাবে, তাহলে অবশ্যই আরএসএসকে নিষিদ্ধল ঘোষণা করতে হবে। এদিকে এবার এই ইস্যুতে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনিও বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা আরএসএসের কারণে নষ্ট হচ্ছে। ফলে অবশ্যই আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। যদি প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের আদর্শকে সম্মান করেন, তাহলে এটা অবিলম্বে করা উচিত।

বিরোধীদের গলার কাঁটা আরএসএস

প্রসঙ্গত, আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি বিরোধীরা আজ থেকে নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে। এমনকী কেন্দ্রে যখন ইউপিএ সরকার ছিল, তখন সংঘের কার্যকলাপের ওপর বিধিনিষেধ ছিল বিস্তর। কিন্তু কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে প্রতিটি রাজ্যে সংঘের প্রভাব বেড়েছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছে বিরোধী শিবির।