সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast Case) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত অভিযুক্তদের ধরপাকড় করছে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ধৃতদের মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে চিকিৎসক কিংবা হাসপাতালের কর্মী। এরাই মূলত হোয়াইট কলার টেরর-এর প্রধান মুখ। এবার কানপুরের একটি মেডিকেল কলেজে কার্ডিওলজি বিভাগের ছাত্র মহম্মদ আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে কানপুরের অশোকনগর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে এটিএস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে দিল্লিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া মহিলা চিকিৎসক শাহিন সাহিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আরিফের।
কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?
আরিফ যে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন এবং পড়াশুনো করছিলেন, সেই হাসপাতালের সহকর্মী ও কর্মকর্তারও গোটা ঘটনার পর হতবাক। তাঁদের দাবি, যথেষ্ট মেধাবী ছাত্র ছিল আরিফ। তাঁর ব্যবহারেও কখনও কোনও সন্দেহজনক বিষয় লক্ষ্য করেনি তাঁরা। এমনকী আরিফ যে বাড়িতে ভাড়া থাকত তার পাশেই ওই হাসপাতালের আরও একটি চিকিৎসক ভাড়া থাকতেন। তিনি কখনই সেখানে শাহিন বা পারভেজকে আসতে দেখেননি। এমনকী সোমবারের ঘটনার পর আরিফের ব্যবহার, গতিবিধির মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেনি তাঁরা।
দেখুন ভিডিয়ো
#WATCH | Kanpur, Uttar Pradesh: Dr Abhishek, flatmate of Dr Arif, who is being questioned in connection with the Delhi terror blast case, says, "We were not friends. Initially, when we come here, we do not get hostels, so the resident doctors usually rent a flat... I never heard… pic.twitter.com/8BbI5cQcM5
— ANI (@ANI) November 13, 2025
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকাল থেকেই একটি গোপনসূত্রে খবর পেয়ে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। এরমধ্যে ফরিদাবাদ ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ফরিদাবাদের আরও একটি জায়গা থেকে ২৫০০ কেজি বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। গ্রেফতার হয় চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ, মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল মাজিদ রাথর। এরমধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। যেখানে মৃত্যু হয় ১২ জনের।