K Kavitha (Photo Credit: File Photo)

K Kavitha Suspended: নিজের মেয়ে কবিতা রাও-কে নিজের দল থেকে তাড়িয়ে দিলেন তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrashekar Rao)। দল বিরোধী কার্যকলাপ জড়িত থাকায় কে কবিতাকে সাসপেন্ড করা হল বলে কেসিআর-এর দল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি (BRS)-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পারিবারিক কোন্দলে শেষ পর্যন্ত ভাগ্নেকে বেশি রুত্ব দিয়ে, মেয়েকে সরিয়ে দিলেন চন্দ্রশেখর রাও। তেলঙ্গানার বিধান পরিষদের সদস্য কে কবিতা সম্প্রতি অভিযোগ করেন, তাঁর পিসতুতো ভাই হরিশ রাও এবং সন্তোষ কুমার কেলেশ্বরম লিফট ইরিগেশন প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন ও সম্পত্তি করেছেন। কবিতার বাবা কেসিআর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সরকারের একটি বড় উদ্যোগ ছিল। তাই ঘুরিয়ে নিজের বাবাকেও কাঠগড়ায় তোলেন কবিতা। এই কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েকে দল থেকে সাসপেন্ড করলেন চন্দ্রশেখর রাও।

রাও পরিবার, দুর্নীতি ও সূর্যাস্তের পথে BRS

বড় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে এখন কেলেশ্বরম লিফট ইরিগেশন প্রকল্প দুর্নীতি কাণ্ড সিবিআই-এর তদন্তের মুখে রয়েছে। অভিযোগ, এই প্রকল্পে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি খরচের অনিয়ম ঘটেছে। কেসি রাও কন্যা কবিতার অভিযোগ হরিশ রাও এবং সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতার অভিযোগ তুলে দলেকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। জোর জল্পনা, কবিতা এবার হয়তো বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও তিনি তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।

দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় ৫ মাস জেলে ছিলেন কবিতা

দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেসিআর কন্যা কবিতা রাও প্রায় ৫ মাস জেলে ছিলেন। গত বছর অগাস্টে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে তিহার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন কবিতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করে ২০০৬ সালে ভারতে ফিরে আসার পর কবিতা তার বাবার সঙ্গে তেলেঙ্গানা আন্দোলনে যোগ দেন। ২০১৪ সালে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের পর রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে নিজামাবাদ লোকসভা আসন থেকে জিতে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন কবিতা। তবে পরেরবার এই কেন্দ্রে হেরে যান। পরের বছর বিধান পরিষদের সদস্য হন। দাদা কে.টি. রামা রাও বাবার মন্ত্রিসভায় বড় দায়িত্ব পেলেও, কবিতা দিল্লির রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আবগারি দুর্নীতিতে জড়িয়ে জেল খাটতে হয়েছিল তাঁকে।

দেখুন খবরটি

কবিতার কথা

কবিতা সাসপেন্ড হওয়ার পর তেলাঙ্গানার রাজনীতিতে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল বিআরএস। ২০২৩ বিধানসভা বিপর্যয়ের পর বিআরএস-এ ভাঙন শুরু হয়। গত বছর লোকসভা ভোটে সব কটি আসনেই হারে BRS। একের পর এক নেতা, বিধায়ক হয় বিজেপি বা কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। দক্ষিণের কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হতে চলেছেন কেসি রাও। যার আন্দোলনের জন্য তেলাঙ্গানা পৃথক রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে। রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এক সময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকে, একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে সাধারণ মানুষের থেকে ক্রমশ দূরে সরে গিয়েছেন কেসি রাও।