নতুন দিল্লি, ৯ জুন: সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। বাংলার বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও মন্ত্রী হলেন। ফলে বিজেপি-র সংগঠনে ব্যাপক রদবদল হতে পারে। বাংলায় বিজেপির সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। সর্বভারতীয় সভাপতি বিজেপি হতে পারেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। বাংলার সংগঠনে শুভেন্দুর সঙ্গে সুকান্তর চাপা উত্তেজনা এড়াতেই বালুরঘাটের সাংসদকে মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা দিল কি না দল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মোদী হাওয়া ছাড়াই কঠিন ভোটেও বাংলা থেকে ১২ জন সাংসদ হয়েছেন। তবু মাত্র দু'জনকে প্রতিমন্ত্রী আর কাউকে পূর্ণমন্ত্রী না করার ক্ষোভ দেখা গেল রাজ্য বিজেপি নেতাদের মধ্য়ে। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে ৩০ জন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ৪১ জন (৫ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) শপথ লিনে। কিন্তু বাংলাকে খুশি করার মত তেমন কিছুই থাকল না। তমলুক থেকে জেতা কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্য়ায়-এর নাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে জল্পনা চললেও, সেসব হল না। তিনবারের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও বঞ্চিত থাকলেন। এমন অবস্থায় রাজ্য বিজেপি-তে ভাঙনের সম্ভাবনা বাড়ার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজ্যের পদ্ম শিবিরের সমর্থকরা। আরও পড়ুন-পঙ্কজা মুন্ডে হারলে আত্মহত্যার ঘোষণা করা বিজেপি সমর্থকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু
বাংলা থেকে মাত্র দু জনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার পিছনে বড় কারণ থাকল বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকা। মোদী তিন মন্ত্রিসভায় ৭২ জনের হলেও সেখানে জেডি (ইউ) টিডিপি, এলজিপি সাংসদদের ভিড়। এমনকী কোনও আসন না জেতা রিপাবলিকান পার্টির রামদাস আটওয়ালেকেও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হল।