গত বুধবার আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলম (Alamgir Alam)। এই মামলায় মঙ্গলবার গ্রেফতার হয়েছিলেন মন্ত্রীর সচিব সঞ্জীব লাল এবং তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বুধবার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ম্যারাথন জেরার সম্মুখীন হয়েছেন মন্ত্রী আলমগীর। বৃহস্পতিবার সকালেও রাঁচিতে ইডির দফতরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি ইডি আধিকারিকরা।

আর্থিক তছরুপ মামলায় মন্ত্রীর সচিবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩৭ কোটি টাকা। ৫০০ টাকার নোটের পাহাড় দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় ইডি আধিকারিকদের। তারপরেই সঞ্জীব লাল এবং জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করার পর দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর সমন পাঠানো হয় কংগ্রেস মন্ত্রীকে। এর আগেও একাধিকবার জেরা করা হয় আলমগীরকে। কিন্তু প্রতিবারই গা বাঁচিয়ে বেরিয়ে যেতেন তিনি। তবে সচিব গ্রেফতার হওয়ার পরে বেকায়দায় পড়েন তিনি। সেই কারণেই বুধবারের জেরায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে, যার ফলে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।

এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার হন গ্রামোন্নয়ন দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রাম। সেই সময় তাঁর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণের অর্থ উদ্ধার হয়। সেই সময় মন্ত্রী আলমগীর বলেছিলেন, এই দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এবং তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। তবে ইডি তদন্ত চালিয়ে যায়। তাঁদের সন্দেহ হয় এই কাণ্ডে আরও বড় কোনও ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। আর তারপরেই এই বছর গ্রেফতার হয় মন্ত্রী আলমগীর আলম।