প্রতীকী ছবি (Photo Credit: X)

কর্মক্ষেত্রে মানসিক হেনস্থা, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের থেকে প্রতিনিয়ত অপমানের শিকার হন পুলিশও। আর সেই ঘটনার জেরে এবার আত্মঘাতী (Suicide) হলেন এক আইপিএস অফিসার। গত ৭ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডিগড়ে। নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সিনিয়র আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরান কুমার। ঘটনার দিন পুলিশ আধিকারিকের বাড়ির বেসমেন্টে অবস্থিত একটি সাউন্ডপ্রুফ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ পাতার সুইসাইড নোট, যেখানে মোট ১২ জন প্রাক্তন ও বর্তমান পুলিশকর্তার নাম উল্লেখ করেছিলেন পুরান কুমার। যার মধ্যে ডিজিপি শত্রুজিৎ সিং কাপুর ও রোহতকের পুলিশ সুপারের নাম বারংবার উল্লেখ রয়েছে।

পুরানের স্ত্রী জাপানে ছিলেন

জানা যাচ্ছে, পুরানে স্ত্রী আমনীত পি কুমারও একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসার। তিনি ঘটনার কয়েকদিন আগেই একটি কেসের তদন্তে জাপানে চলে যান। ঘটনার দিন তিনি সেখানেই ছিলেন। আর তাঁদের মেয়ে ঘটনার দিন শপিং করতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। ঘরে শুধুমাত্র পুরান ও তাঁদের রাঁধুনি প্রেম সিং ছিলেন। কিন্তু ঘটনার কিছু সময় আগে পুলিশকর্তা পোষ্য কুকুরকে বাইরে ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে বলেন প্রেম সিংকে। ফলে ঘটনার সময় ঘরে কেউ ছিল না। আর সেই সুযোগেই দুপুর দেড়টা নাগাদ আত্মঘাতী হন পুরান কুমার।

ঘটনাস্থলে মেয়ে এসে বাবার দেহ উদ্ধার করে

পরিবারসূত্রে খবর, মৃত্যু কয়েকদিন আগেই তাঁর সম্পত্তির উইল তাঁর স্ত্রীর নামে করে দেন। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সেই উইলের কপি আমনীতকে হোয়াটসঅ্যাপ করে পুরান। আর সেটা দেখে সন্দেহ হওয়ায় ক্রমাগত স্বামীকে ফোন করতে থাকেন আমনীত। ১৫ বার কল করেও যখন কোনও উত্তর পায় না, শেষমেশ মেয়েকে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলেন সে। ঘটনাস্থলে এসে মেয়েই প্রথম বাবার দেহ উদ্ধার করেন। তারপরেই খবর যায় থানায়। পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন পুলিশকর্তা

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০২৩ কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হচ্ছিলেন পুরান। অভিযুক্তদের জন্য তাঁকে সরকারি গাড়ি প্রত্যাহার করতে হয়েছিল। সে যাতে সরকারি বাসস্থানের সুবিধা না পান, সেইজন্য মিথ্যা হলফনামা জমা দেওয়া হয়। এছাড়া বর্ণবৈষম্য, প্রশাসনিক পক্ষপাতও তাঁৎ সঙ্গে করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই ডিজিপি ও পুলিশ সুপারের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন পুরানের সহকর্মীরা।