পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির পুজো করার জন্য একটি বছরের ১৫টি দিনকে খুব বিশেষ বলে মনে করা হয়, এই দিনগুলিকে বলা হয় পিতৃপক্ষ। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, পিতৃপক্ষ সময় চলাকালীন পূর্বপুরুষরা পিতৃলোক থেকে পৃথিবীতে আসেন, তাই এই সময়ে পিতৃপুরুষদের শ্রাদ্ধ, তর্পণ বা পিণ্ডদানের মতো কাজ করার রীতি রয়েছে। মান্যতা রয়েছে যে পিতৃপক্ষ চলাকালীন শ্রাদ্ধ করলে পিতৃপুরুষের সমস্ত ঋণ মিটে যায় এবং তারা মোক্ষ লাভ করে, পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সমৃদ্ধির আশীর্বাদ করেন পিতৃপুরুষরা। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা দিন থেকে শুরু হয়ে অমাবস্যার দিন পর্যন্ত চলবে পিতৃপক্ষ।
২০২৪ সালে পিতৃপক্ষ শুরু হচ্ছে ১৭ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হবে ২ অক্টোবর। ১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, পূর্ণিমা শ্রাদ্ধ। ১৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার, প্রতিপদ শ্রাদ্ধ। ১৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়ার শ্রাদ্ধ। ২০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, তৃতীয়া শ্রাদ্ধ। ২১ সেপ্টেম্বর, শনিবার, চতুর্থী শ্রাদ্ধ এবং মহা ভরানী। ২২ সেপ্টেম্বর, রবিবার, পঞ্চমী শ্রাদ্ধ। ২৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার, ষষ্ঠী ও সপ্তমীর শ্রাদ্ধ। ২৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, অষ্টমী শ্রাদ্ধ। ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার, নবমী শ্রাদ্ধ। ২৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, দশমী শ্রাদ্ধ। ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, একাদশীর শ্রাদ্ধ। ২৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার, দ্বাদশীর শ্রাদ্ধ ও মাঘ শ্রাদ্ধ। ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার, ত্রয়োদশীর শ্রাদ্ধ। ১ অক্টোবর, মঙ্গলবার, চতুর্দশীর শ্রাদ্ধ। ২ অক্টোবর, বুধবার, সর্বপিত্রী অমাবস্যা।
শাস্ত্র অনুসারে, সকাল ও সন্ধ্যায় পুজো করা হয় দেব-দেবীর। তাই পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয় দুপুর ও বিকালের সময়টি। দুপুর ১২টার দিকে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে শ্রাদ্ধ করা উচিত। সূর্যকে মনে করা হয় আগুনের উৎস। সূর্যের রশ্মি পূর্বপুরুষদের খাদ্য সরবরাহের একটি মাধ্যম বলে মনে করা হয়। কুতুপ ও রৌহিন মুহুর্তে দেবতা ও ব্রাহ্মণদের অন্ন প্রদান করার পাশাপাশি কাক, পিঁপড়া, গরু ও কুকুর খাওয়ানো উচিত। শ্রাদ্ধ করার জন্য এই সময়কে শুভ বলে মনে করা হয়।