প্রতিবারই মে বা জুন মাসে পড়ে নওতাপ। এই সময়ে ৯ দিন ধরে গরম চরম পর্যায়ে থাকে। জ্যোতিষীদের মতে, ২০২৪ সালে নওতাপের তাণ্ডব শুরু হবে ২৫ মে এবং ২ জুন পর্যন্ত ৯ দিন ধরে সূর্য আগুনের বৃষ্টি ঝরাবে। এই সময় সূর্য তার সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় থাকে, তাই তাপও সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। ভৌগোলিক পরিবর্তন অনুসারে, নওতাপের সময় ১৫ দিন রোহিণী নক্ষত্রে অবস্থান করে সূর্য। এরপর মৃগশিরা নক্ষত্রে গোচর করবে সূর্য। ১৫ দিন সূর্য রোহিণী নক্ষত্রে অবস্থান করার সময় প্রথম ৯ দিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে, তাই ৯ দিনের সময়কালকে বলা হয় নওতাপ। এই ৯ দিনে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকে সূর্য।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ২০২৪ সালে নওতাপ শুরু হবে ২৫ মে, জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে সূর্য রোহিণী নক্ষত্রে প্রবেশ করবে এবং ২ জুন পর্যন্ত থাকবে নওতাপ। বর্তমান সময়েই প্রখর রোদে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে, দেখা নেই বৃষ্টির। তার উপরে নওতাপের ৯ দিন, ঋতুর সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। জ্বলেপুড়ে যাওয়ার মতো গরম পড়তে চলেছে আগামীদিনে। সনাতন ধর্মে বিশেষ স্থান রয়েছে সূর্য দেবতার। শ্রীমদ্ভাগবত অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ মাসে সূর্য যখন ১৫ দিনের জন্য রোহিণী নক্ষত্রে অবস্থান করে, তখন সেই ১৫ দিনের প্রথম ৯ দিন সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। এই প্রথম ৯ দিনকে বলা হয় নওতাপ।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ অনুসারে, নওতাপ চলাকালীন সূর্যের রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে পড়ে। এই কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। নওতাপের সময় অতিরিক্ত তাপের কারণে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় সমতল ভূমিতে এবং আকৃষ্ট হয় সমুদ্রের ঢেউ। মান্যতা রয়েছে, নওতাপের তীব্র তাপের পরই ভালো বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। নওতাপের সময় তাপের তীব্রতা কম থাকলে বৃষ্টিও স্বাভাবিক থাকে। নওতাপের আগে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং নওতাপের শেষ দুই দিনে প্রবল বাতাস, ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। পরিবেশের জন্য নওতাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।