ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন ভাষা, উপভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। কিছু রাজ্য তুষারের চাদরে থাকে আবার কিছু রাজ্য অবস্থিত সবুজ উপত্যকায় ঘেরা পাহাড়ে। কিছু সমভূমি বনে আচ্ছাদিত আবার কিছু জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় হ্রদ ও জলপ্রপাত। একইভাবে, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি অবস্থিত সমুদ্র উপকূলে। পাহাড়-পর্বত, সমভূমি ও সমুদ্র উপকূল নিয়ে এমন অনেক পর্যটন স্থান আছে যেগুলোর রয়েছে ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব। এই সব মিলিয়ে তৈরি ভারত।
সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে ভারতের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই পালন করা হয় জাতীয় পর্যটন দিবস। পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতির কিছু অংশ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। পর্যটনের প্রসার ঘটিয়ে বাড়ানো যেতে পারে দেশের কর্মসংস্থান ও জিডিপি। জাতীয় পর্যটন দিবসের গুরুত্ব বোঝার পাশাপাশি জেনে নিন এর ইতিহাস।
ভারতে দুবার পর্যটন দিবস পালিত হয়। একবার জাতীয় স্তরে, আর একবার আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস হিসেবে। জাতীয় পর্যটন দিবস পালন করা হয় ২৫ জানুয়ারি এবং বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয় ২৭ সেপ্টেম্বর। স্বাধীনতার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে ভারতে পর্যটন দিবস পালন করা শুরু হয়। পর্যটনের গুরুত্ব বুঝতে পেরে প্রচারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ভারতে গঠন করা হয় পর্যটন ট্রাফিক কমিটি। কমিটি গঠনের ৩ বছর পর ১৯৫১ সালে কলকাতা ও চেন্নাইতে শুরু হয় পর্যটন দিবসের আঞ্চলিক কার্যালয়। পরবর্তীতে দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতায় পর্যটন অফিসও নির্মিত হয়। ১৯৯৮ সালে, পর্যটন ও যোগাযোগ মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় পর্যটন বিভাগ।
ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে দেশের পর্যটনের বিশেষ অবদান রয়েছে বুঝতে পেরে ভারতীয় পর্যটনের প্রচারের কাজ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। পর্যটন দিবসের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে ভারতের দিকে আকৃষ্ট করা হয়। পর্যটনের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী পর্যটন দিবস পালিত হয়।