কপিলমুনির মন্দির (Photo Credits: Wikipedia)

কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি: বাঙালি মানেই বারো মাসে তেরো পার্বন। শীতের শেষে পৌষসংক্রান্তি হল সবচেয়ে বড়। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। পৌষের শেষ মানেই উৎসবের পালা বাংলায়। সারা দেশে নানা ভাবে এই মকর সংক্রান্তি উৎসবে মেতে ওঠেন মানুষ। এক একটি রাজ্যে এই মকর সংক্রান্তি উৎসবের নাম এক একরকম।  ফানুস ওড়ানো, খাওয়া দাওয়া মিলিয়ে মকরসংক্রান্তিতে মেতে ওঠে হাজার হাজার মানুষ মকরসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে গঙ্গাসাগরে(Ganga Sagar)-ও সাড়ম্বরে পালিত হয় এই উৎসব। কপিল মুনির আশ্রমের সামনে বসে বিরাট মেলা। হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান কপিল মুনি(Kapil Muni)-র আশ্রমে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনীও।

এবছর ১৫ জানুয়ারি মকরসংক্রান্তি। জ্যোতিষশাস্ত্রে  সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশকে বলে 'মকরসংক্রান্তি'। এই পার্বনেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগরদ্বীপে। কপিল মুনির আশ্রম সেজে ওঠে। মকর সংক্রান্তিতে হয় পুণ্যস্নান ও বসে বিরাট মেলাও । এই মেলা গঙ্গাসাগর মেলা নামে পরিচিত। তবে কেন কপিল মুনির আশ্রম ঘিরেই মেলা হয়? এই মেলা ঘিরে ইতিহাসের পাতায় এক একরকমের কাহিনী জড়িয়ে রয়েছে। কথায় আছে, ইক্ষাকু বংশের রাজা সাগর অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। ভয় পেয়ে দেব ইন্দ্র কপিলমুনির অখেয়ালে সেই ঘোড়া চুড়ি করে আশ্রমে আটকে রাখেন। সাগর রাজা ঘোড়া খুঁজতে গিয়ে কপিল মুনির আশ্রমে পান সেটি। কপিল মুনিকে অপহরণকারী বলেন তিনি। এরপর মুনি রেগে গিয়ে দেন অভিশাপ। সেই অভিশাপে ভস্ম হয়ে যান সাগর রাজার ষাট হাজার পুত্র। সগরের পৌত্র ভগীরথ স্বর্গ থেকে গঙ্গাকে নিয়ে আসেন। সগরপুত্রদের ভস্মাবশেষ ধুয়ে ফেলেন এবং তাদের আত্মাকে মুক্ত করে দেন। আরও পড়ুন: FIR Against Dilip Ghosh: ‘কুকুরের মতো গুলি করে মারব' মন্তব্যে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে FIR তৃণমূলের 

পৌরাণিক কাহিনী এমন কথা বললেও, লোকমুখে ছড়িয়েছে অন্য এক কাহিনী। ছ'বার মন্দিরটি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে ১৩৮০ সালে অযোধ্যার হনুমান গড়ি মঠের মোহান্ত রামদাসজি মহারাজ। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে মন্দিরটি তৈরি করেন। পৌরণিক মতে মকরসংক্রান্তির দিন থেকে উত্তরায়নের সঙ্গে সঙ্গে দেবতাদের দিন শুরু হয়। দক্ষিণায়নের সঙ্গে শুরু হয় দেবতাদের রাত। সবচেয়ে আকর্ষণের জায়গা হল সাধুসন্তদের সাজ। দেশ বিদেশ থেকে আসেন তারা। কনকনে ঠান্ডায় ছাই মেখে বসে থাকেন আশ্রমে।