অনলাইনে কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্ন ফাইল, রইল টিপস
আয়কর জমা, প্রত্যেক ভারতীয়কেই তার আয়ের অনুপাতে কর জমা করতে হয়।মূলত আয়কর দপ্তরেই জমা পড়ে এই কর।কর জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমাও নির্দিষ্ট থাকে যেমন চলতি বছরে আয়কর জমা করার শেষ দিন আগামী ৩১ জুলাই। তারমধ্যেই প্রত্যেককে তার আয়ের অনুপাতে কর জমা করতে হবে।
আয়কর জমা, প্রত্যেক ভারতীয়কেই তার আয়ের অনুপাতে কর জমা করতে হয়।মূলত আয়কর দপ্তরেই জমা পড়ে এই কর।কর জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমাও নির্দিষ্ট থাকে যেমন চলতি বছরে আয়কর জমা করার শেষ দিন আগামী ৩১ জুলাই। তারমধ্যেই প্রত্যেককে তার আয়ের অনুপাতে কর জমা করতে হবে।সেই অর্থে দেখতে গেলে আয়কর জমা করার পদ্ধতি তেমন কোনও শক্ত কাজ নয়।তবে আয়কর জমা করার আগে গোটা বিষয়টি ভাল করে বুঝে নেওয়া দরকার। যাঁরা এর আগেও আয়কর দিয়েছেন তাঁদের কাছে বিষয়টি পুরনো হলেও এবার যাঁরা প্রথম আয়কর দেবেন তাঁরা অবশ্যই প্রতিবেদনটি চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।কাজে আসবে।
বলাবাহুল্য, আয়কর রিটার্নের(Income Tax Return) জন্য আপনাকে ১৬ নম্বর ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।আপনি যদি কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কর্মী হন তাহলে অফিসের অ্যাকাউন্ট্যান্টের থেকে সংশ্লিষ্ট ফর্ম নিয়ে নিন।যদি স্বাধীনভাবে ব্যবসা করেন তাহলে গ্রাহক হিসেবেও ফর্মটি তুলে নিতে পারেন।তবে আয়কর জমার জন্য কোথাও ছোটাছুটির প্রয়োজন নেই।বাড়িতে বসেই অনলাইনে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারেন কীভাবে, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আয়কর জমা করতে গেলে আধার নম্বর বিশেষভাবে জরুরি।তাই আয়কর দাখিলের আগে দেখে নিন আপনার আধার নম্বর আছে কি না।না থাকলে আধার কার্ডের জন্য আবেদন করুন।আধার নম্বর ছাড়া এখন আর আয়কর জমা দেওয়া সম্ভব নয়।এবার আসি কীভাবে জমা করবেন, প্রথমে আপনাকে আয়কর দপ্তরের ওয়েবসাইটে যেতে হবে(https: // itrrchometkshindiaafailidagkgovkin /)।ওয়েবসাইটটি খুটিয়ে পড়ে নিন, কোনও তথ্যে সমস্যা থাকলে সেটি যাচাই করে নিন। তারপর নিজের নামে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।গোটা প্রক্রিয়াটি ভাবনা চিন্তা করে বুঝেশুনে করবেন, কোনওরকম ত্রুটি থাকলে পরবর্তিতে সমস্যায় পড়তে পারেন।
রেজিস্টারের পরই নতুন গ্রাহকের যাবতীয় তথ্যাদি লেখার জন্য একটি অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করতেই একটি ফর্ম খুলে যাবে সেটি পূরণ করুন।সেই ফর্মেই আপনার মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি-ও দিতে হবে।এবার অপেক্ষা করুন। ফর্ম পূরণ সম্পূর্ণ হলে নির্দিষ্ট ইমেল আইডি-তে একটি লিংক আসবে।প্রদত্ত লিংকটি খুললেই ফর্মে দেওয়া ফোন নম্বরে একটি ওটিপি পাবেন।ওটিপি যাচাইয়ের পর আয়কর দপ্তরের ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন।সেখানে আপনার ফোন নম্বরটি ইউজার আইডি ও জন্মের বছর সাল তারিখ পাসওয়ার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।পেজ খুলে যেতেই বিবিধ অপশন নজরে আসবে তারমধ্যে থেকে অনলাইন আইটি ফাইল সিলেক্ট করুন।এখানে দুরকম ফর্ম পাবেন, যাঁরা কর্মচারী তাঁরা এক নম্বর ফর্মটি বেছে নিন, যাঁরা সংস্থার প্রধানের পদে রয়েছেন তাঁদের জন্য চার নম্বর ফর্ম।
যিনি প্রথমবার আয়কর জমা করতে চান তাঁকে নিজের বাড়ির ঠিকানা নথিভুক্ত করতে হবে।পরবর্তী অপশনে যাওয়ার আগে আপনার দেওয়া যাবতীয় তথ্যের উপরে ভাল করে নজর বুলিয়ে নিন, কোথাও কোনওরকম ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করুন।যদি পুরনো গ্রাহক হন তাহলে আগেভাগে গত বছরের জমাকৃত আয়করের পরিমাণটি একবার চোখ বুলিয়ে নিন।তারপর চলতি বছরের আয়করের পরিমাণ দেখে তা নথিভুক্ত করুন।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
কোথায় কোন খাতে কত লগ্নি করেছেন, ব্যাংক ব্যালেন্সই বা কত, বছরে কটি বিদেশ ট্যুর করেছেন সবই আয়কর রিটার্নের সময় জানাতে হবে।মনে রাখবেন এর একটি বাদ পড়লেই জটিলতা বাড়বে কেননা আধার ও প্যান কার্ডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তথ্য আগেই আয়কর দপ্তরের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।আয়ের উৎস সম্পর্কে জানান, তার মধ্যে কোন অংশটি কর ছাড়ের আওতায় পড়ছে তা বুঝে নিন।
উপকারিতা
আয়কর জমা(Income Tax file) করে বেশকিছু সুযোগ সুবিধাও পেয়ে যাবেন গ্রাহক।মনে রাখবেন ফর্ম পূরণের পরেপরেই আয়কর দপ্তরের তরফে একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে।এরপর আয়কর সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়লে ওই শংসাপত্রই আপনার পরিত্রাণের একমাত্র চাবিকাঠি।কোনওরকম বিভাগীয় তদন্ত হলে শংসাপত্রই প্রমাণ দেবে যে আপনি নিয়মিত আয়কর রিটার্ন করেন।যদি লোন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তখন এই শংসাপত্র কাজে আসবে এমনকী, ক্রেডিট কার্ড ও স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্টারেও শংসপত্রের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।