Photo Credits: Wikimedia Commons

সমস্ত জীবের জীবন নশ্বর। পৃথিবীতে যার জন্ম হয়েছে তার মৃত্যুও নিশ্চিত, এটি এমন এক সত্য যা কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। গরুড় পুরাণ (Garuda Purana) হিন্দু ধর্মের একটি ধর্মগ্রন্থ, যা মৃত্যু এবং মৃত্যুর পরের অবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি। গরুড় পুরাণে, ভগবান বিষ্ণু তাঁর বাহন পক্ষীরাজ গরুড়কে বিশদে জানান যে, একজন ব্যক্তিকে তার কর্মের ভিত্তিতে মৃত্যুর সময় এবং মৃত্যুর পরে কী কী কষ্ট ভোগ করতে হয়। তিনি বলেন, মৃত্যুর পর শুধু শরীর ধ্বংস হয়, আত্মার নয়, কারণ আত্মা অমর। একই কথা শ্রীকৃষ্ণও বলেছেন।

তাই কথিত আছে, মৃত্যুর সময় শরীর ত্যাগ করে আত্মা। কিন্তু জানেন মৃত্যু হলে শরীরের কোন অংশ থেকে আত্মা বের হয়? গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, জীবনে করা মানুষের কর্ম অনুসারে মৃত্যুর পর বিভিন্ন অঙ্গ থেকে বের হয় তার আত্মা। গরুড় পুরাণ অনুসারে শরীরে নয়টি দরজা থাকে এবং মৃত্যুর সময় দেহের এই নয়টি দরজার যেকোনও একটি থেকে আত্মা শরীর ত্যাগ করে। এই নয়টি দরজা হল দুটি চোখ, দুটি কান, নাসিকার দুটি ছিদ্র, মুখ এবং মল মূত্র ত্যাগকারী অঙ্গ। এবার জেনে নেওয়া যাক শরীরের এই ৯টি দরজার মধ্যে কোনটি শুভ এবং কোনটি অশুভ।

  • মান্যতা আছে যে মৃত্যুর সময় যাদের আত্মা চোখ থেকে বেরিয়ে আসে তাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রবল হয় এবং পরিবারের সঙ্গে খুব বেশি যুক্ত থাকে তারা।
  • গরুড় পুরাণ অনুসারে, যারা জীবনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তাদের আত্মা নাক দিয়ে বের হওয়া। আত্মা নাক দিয়ে বের হওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
  • গরুড় পুরাণে মুখ থেকে আত্মার শরীর ত্যাগ করাকেও শুভ বলে মনে করা হয়। যারা জীবনে ধর্মের পথে চলে, তাদের আত্মা মুখ থেকে বের হয়।
  • যারা গোটা জীবন শুধু অর্থ উপার্জনে ব্যয় করে, তাদের আত্মা মৃত্যুর পর মল-মূত্রের দরজা দিয়ে বের হয়। তবে এই দরজাকে শুভ বলে মনে করা হয় না।