একসময় ভারতের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন জগজীবন রাম। তিনি ছিলেন দলিত সমাজের একজন বিশিষ্ট নেতা। অনগ্রসর শ্রেণী, দলিত এবং বঞ্চিতদের জন্য আওয়াজ তোলার পাশাপাশি দলিতদের ভোট দেওয়ার দাবি জানিয়ে ছিলেন জগজীবন রাম। বিহারের একটি ছোট গ্রামে জন্ম হয় জগজীবন রামের, পরবর্তী সময়ে দিল্লির রাজনীতির বড় মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী বাবু জগজীবন রামের জন্মদিন পালন করা হয় ৫ এপ্রিল। চলুন বাবু জগজীবন রামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের কিছু জানা অজানা কাহিনী।
লোকসভার প্রথম মহিলা স্পিকার মীরা কুমার হলেন জগজীবন রামের কন্যা। জগজীবন রাম দশম শ্রেণী পাস করার পর আর্থিক সমস্যার জন্য আর পড়াশোনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে মদনমোহন মালব্যর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তিনি জগজীবন রামকে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তবে জগজীবন রাম বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও সব জায়গায় বৈষম্যের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। তাই বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন বাবু জগজীবন রাম। কিন্তু পরে জগজীবন রাম কংগ্রেস ছেড়ে দেন এবং ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর গঠন করেন জনতা পার্টি সরকার। সেই সময়ে ধর্মীয় স্থানে দলিতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। একবার তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে জগন্নাথ পুরীর মন্দিরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। জননেতা হওয়ার কারণে তাঁকে মন্দিরে প্রবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হলেও তাঁর স্ত্রী সহ অন্যান্য দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের মন্দিরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। সেই দৃশ্য দেখে জগজীবন রামও মন্দিরে যেতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় জগজীবন রামে স্ত্রীর ডায়েরিতে।