নতুন দিল্লি, ১৪ এপ্রিল: ভারতে মঙ্গলবার করোনাভাইরাস (Coronavirus) ১০, ০০০ পেরিয়েছে। এখনও পর্যন্ত, দেশে COVID-19 এর জন্য ১০, ৮১৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যে থেকে ভারতে মোট ২৯ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মতে, মঙ্গলবার এই মারণ ভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৩।
ইতিমধ্যে, করোনাভাইরাস থেকে এখনও অবধি ১,১৮৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার সক্রিয় করোনা ভাইরাসের সংখ্যা ৯, ০০০ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে ৯২৭২ জনের শরীরে ভাইরাসটি সক্রিয় আছে। করোনাভাইরাসের মহারাষ্ট্র এখনও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে রয়েছে। মোট সংখ্যা ২,৩৩৭। দিল্লি দেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল। রাজধানীতে, এখনও অবধি ১, ৫১০ জনের শরীরে COVID-19 রয়েছে। নতুন করে দিল্লি থেকে আঠাশ জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। তামিলনাড়ুতেও COVID-19 এর সংখ্যাও ১০০০-ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত, ভারতের এই দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যে ১,১৭৩ জন এই ভাইরাস ধরা পড়েছে। আরও পড়ুন, ৩ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের সময়সীমা
আগামী ৩ মে পর্যন্ত গোটা দেশ লকডাউন থাকবে। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে লকডাউন পিরিয়ড চলাকালীন নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দদিয়েছেন। ট্রেন, বাস, মেট্রো, বিমান পরিষেবা সবটাই ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। সেই ভাষণেই মোদি বলেন, 'সবক'টি রাজ্য এবং রাজ্যের নাগরিকেরা চাইছেন লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হোক। লকডাউনের জন্যই আমাদের দেশ অন্য উন্নত দেশের তুলনায় এখনও অনেক ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছে।'
১৪ এপ্রিলই লকডাউনের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। দিন দু'য়েক আগেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও-বৈঠক করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ইস্যুতে সায় দেন মুখ্যমন্ত্রীরা। এবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে বললেন, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নয়। ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হল লকডাউনের সময়সীমা। নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি রাজ্য, প্রতিটি জেলা কড়া নজরে রাখা হবে। কারণ আগামী ১ সপ্তাহ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। হটস্পটগুলো সম্পর্কে আগামিদিনে আরও সতর্ক থাকতে হবে। সংক্রমণের মাত্রা যাতে আর না বাড়ে। সেদিকেই খেয়াল রাখতে হবে। হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত এলাকা থেকে বাইরে বেরোনোর উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকবে।'
লকডাউনের জেরে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দেশের দিন আনি দিন খাওয়া মানুষগুলো। কৃষকদের জন্য এই মাসটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের কথা যথাযথভাবে মাথায় রেখে একটি নির্দেশিকা পেশ হবে আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস্ত করেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন এবং ওষুধ রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, দেশে ৬০০-র বেশি হাসপাতাল এবং হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি।