Indian Railway (Photo Credit: X@airnews_kolkata)

মিজোরামের রাজধানী আইজলের সঙ্গে কলকাতার সরাসরি রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে আগামীকাল।আইজলের সাইরাং স্টেশন থেকে 03126 সাইরাং – কলকাতা স্পেশাল সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে পরের দিন বিকেল ৫ টায় কলকাতা স্টেশনে পৌঁছানোর কথা। এরপর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে 13125 কলকাতা – সাইরাং ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস নিয়মিত পরিষেবা শুরু হবে। প্রতি শনি, মঙ্গল ও বুধবার দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিটে কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে পরের দিন সন্ধ্যা সাতটা ২৫ মিনিটে সাইরাং পৌঁছাবে। একই ভাবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর 13126 সাইরাং – কলকাতা ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস প্রতি সোম, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল ৭ টা ১৫ মিনিটে সাইরং থেকে ছেড়ে পরের দিন দুপুর আড়াইটেতে কলকাতা পৌঁছাবে। যাতায়াতের পথে ট্রেন টি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের বদরপুর জংশন, গুয়াহাটি,এ গোয়ালপাড়া টাউন, গোলকগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি ও মালদা টাউন স্টেশনে থামবে বলে রেল সূত্রের খবর। এছাড়া আগামীকাল সাইরাঙ্গ থেকে 02507 সাইরাং – আনন্দ বিহার রাজধানী এক্সপ্রেস স্পেশাল পরীক্ষা মূলক ভাবে যাত্রা শুরু করবে। এরপর আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সাইরাং – আনন্দ বিহার রাজধানী এক্সপ্রেসের নিয়মিত পরিষেবা প্রত্যেক শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় সাইরাং থেকে এবং 20508 আনন্দ বিহার টার্মিনাল – সাইরাং রাজধানী এক্সপ্রেস আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি রবিবার আনন্দ বিহার টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করবে। ট্রেন টি বদরপুর জংশন, গুয়াহাটি, নিউ জলপাইগুড়ি, ভাগলপুর হয়ে যাবে।

এছাড়া , আগামীকাল গুয়াহাটি – সাইরাং এর মধ্যে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে রেল সূত্রের খবর। এই তিন জোড়া ট্রেন পরিষেবা চালু হলে আইজলের সঙ্গে দেশের গুরুত্বপূর্ন স্থান গুলির সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যাপক ভাবে উন্নতি করবে পাশাপাশি অর্থ সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রেল যোগাযোগ নিয়ে মিজোরামের গভর্ণর জেনারেল-

মিজোরামের গভর্নর জেনারেল বিজয় কুমার সিং বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ১১ বছর আগে বলেছিলেন যে দেশের দূর-দূরান্তে, সীমান্তবর্তী এলাকা, দূরবর্তী রাজ্য যাই হোক না কেন, অবকাঠামো পৌঁছালে প্রকৃত উন্নয়ন ঘটবে এবং তাঁর একটি দৃষ্টিভঙ্গি ছিল কীভাবে প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীকে ট্রেনের মাধ্যমে সংযুক্ত করা যায়। উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভালভাবে সংযুক্ত ছিল না। আজ, আমরা বলতে পারি যে আগামীকাল আইজল পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধনের পর, এটি আসলে সংযুক্ত কারণ ট্রেনটিকে জনগণের পরিবহন হিসাবে বিবেচনা করা হয়.. আমি নিশ্চিত যে রেলওয়ে এটিকে মায়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত ২২৩ কিলোমিটার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও প্রস্তুত যাতে আমরা কালাদান প্রকল্পটি ব্যবহার করতে পারি।"