
অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিগত কয়েকদিন ধরে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছিল, তা আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর সীমান্তবর্তী এলাকায় ছন্দে ফিরছে জনজীবন। এরমধ্যে শ্রীনগরে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস ঘুরে দেখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উল্লেখ্য, পাক সেনার তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছিল যে তাঁরা হামলায় না্কি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই সেনাঘাঁটি। কিন্তু এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনা গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করে বুঝিয়ে দেন পাকিস্তানের দাবি পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এদিন শ্রীনগরে গিয়ে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি কড়া জবাব দিলেন তিনি।
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথ সিংয়ের
রাজনাথ সিং বলেন, গোটা বিশ্ব বুঝে গিয়ে আমাদের সেনা জওয়ানদের নিশানা কতটা নির্ভুল। আমরা যেখানে টার্গেট করেছি, সেখানেই হামলা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা গোনার কাজ আমাদের নয়, ওটা ওঁরা করবেষ। পাকিস্তানে পরমাণু হুমকির পরেও আমরা পিছিয়ে আসিনি। বরং আমরা প্রত্যাঘাত করেছি। গোটা বিশ্ব দেথেছে পাকিস্তান দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে ভারতকে পরমাণু হামলার একাধিকবার হুমকি দিয়েছে। আমি আজ শ্রীনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিশ্বের কাছে প্রশ্ন রাখছি, এই পাকিস্তানের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন দুর্বৃত্য দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র কি আদৌ সুরক্ষিত আছে। আমার মতে, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রগুলি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) তত্ত্বাবধানে রাখা উচিত।
দেখুন রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য
ऑपरेशन सिंदूर आतंकवाद के ख़िलाफ़ भारत द्वारा चलाई गई, अब तक के इतिहास की सबसे बड़ी कार्रवाई है। पैंतीस-चालीस वर्षों से भारत सरहद पार से चलाये जा रही आतंकवाद का सामना कर रहा है। आज भारत ने पूरी दुनिया के सामने स्पष्ट कर दिया है कि आतंकवाद के ख़िलाफ़ हम किसी भी हद तक जा सकते हैं।… pic.twitter.com/QjDHAkLouX
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) May 15, 2025
কিরানা হিলস রহস্য
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছিল, অনেকের মতে সেই সময় পাকিস্তানের কিনারা হিলসে ভারতের মিসাইল গিয়ে পড়েছিল। অনেকের মতে, ওই জায়গাতেই পাকিস্তানের গোপন পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। যা এই হামলার পর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই জায়গা রেডিয়েশন ছড়িয়েছে বলে খবর আসছে। এবং হামলার পর এলাকায় নাকি ভূমিকম্পও হয়েছে। যদিও এই নিয়ে ভারতীয় সেনা বা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কিছুই দাবি করা হয়নি। তবে এই হামলার পর থেকেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য আকুতি মিনতি শুরু করেছিল।