India-Thailand Relation (Photo Credit: X@narendramodi)

ভারত ও থাইল্যান্ড (India-Thailand Cooperation) তথ্যপ্রযুক্তি, নৌ, মাঝারি- ক্ষুদ্র -অতি ক্ষুদ্র শিল্প, হস্তশিল্প এবং হ্যান্ডলুম সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ছটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পোয়েতোংত্রান শিনাওয়াত্রার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর গতকাল (৩ এপ্রিল, ২০২৫) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি ভারত- থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে আরো গতি আনার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। উভয় নেতাই বৈঠকে রাজনৈতিক বিনিময় বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার, কৌশলগত সম্পৃক্ততা গভীরতর, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ জোরদার করার কৌশলগুলি অন্বেষণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লেখেন- 

থাইল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ( ormer Prime Minister of Thailand, Thaksin Shinawatra) সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত হলাম। শাসন ও নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ভারতের একজন মহান বন্ধু এবং অটলজির সঙ্গেও তাঁর অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক ছিল। মিঃ সিনাওয়াত্রা এবং আমি ভারত-থাইল্যান্ড সহযোগিতা এবং এটি কীভাবে আমাদের নিজ নিজ দেশের জনগণের উপকার করে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি।

 

 উল্লেখ্য যে থাইল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক 'অ্যাক্ট ইস্ট' নীতি (ACt East Policy)র ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা আসিয়ানের সঙ্গে  ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া ভিশনে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভারত-থাইল্যান্ড এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ভারতের বৃহত্তর কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা গভীরতর করার উপর জোর দেয়।