নিউ ইয়র্ক, ২৮ সেপ্টেম্বর: India Counters Pakistan at UNGA: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে কোনঠাসা করেছিলেন। রাষ্ট্রপুঞ্জে তার কড়া জবাব দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের ফার্স্ট সেক্রেটারি (First Secretary at India's Ministry of External Affairs) বিদিশা মৈত্র (Vidisha Maitra)। তিনি বলেন, 'পাকিস্তানই একমাত্র দেশ, যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভূক্ত এক জঙ্গিকে পেনশন দেয়৷ ৯/১১ হামলার মাথা ওসামা বিন লাদেনকেও সমর্থন করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ অস্বীকার করতে পারেন?'।
তিনি আরও বলেন, 'কেউ একজন, যিনি একসময় ক্রিকেট খেলতেন, জেন্টলম্যানস গেমে বিশ্বাস রাখেন, শুক্রবার তাঁর ভাষণে হিংসা ও বন্দুকের খেলা উঠে এল৷ ১৯৭১ সালের সেই গণহত্যা বিশ্ববাসী ভোলেনি৷ নিজেদের দেশের মানুষকেই হত্যা করেছিল পাকিস্তান৷ তাই দয়া করে, নিজেদের ইতিহাসটাকে একটু ঝালিয়ে নিন৷' বিদেশমন্ত্রকের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিদিশা মৈত্র পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে কিছু শব্দের প্রয়োগ করেন 'pogrom', ' 'bloodbath', 'racial superiority', 'pick up the gun' এবং 'fight to the end'। আরও পড়ুন, অনুপ্রবেশে ব্যর্থ হয়ে ভারতীয় সেনার বুলেটের মুখে পাক জঙ্গির দল, পৈতৃক প্রাণ বাঁচাতে দিল ছুট
#WATCH Vidisha Maitra, First Secretary MEA exercises India's right of reply to Pakistan PM Imran Khan's speech says, "Can Pakistan PM confirm the fact it is home to 130 UN designated terrorists and 25 terrorist entities listed by the UN, as of today?" pic.twitter.com/vGFQH1MIql
— ANI (@ANI) September 28, 2019
বিদিশা মৈত্রের নিশানায় ছিল মুম্বই হামলার মূলচক্রী জঙ্গিনেতা হাফিজ সইদ৷ পাকিস্তানে হাফিজ সইদ যে পেনশন পান, তা দিন দুয়েক আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জে জানিয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরান খান শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর ইস্যুতে ১৫ মিনিটের জন্য ভাষণ দেন। কিন্তু ৫০ মিনিট ধরে তিনি কথা বলেন। এর মধ্যে তাঁর বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল কাশ্মীর ইস্যু। দিন তিনি বলেন 'কাশ্মীরে অমানবিক কার্ফু অবিলম্বে তুলে নিতে হবে ভারতকে৷ সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিক৷' কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখে ভারতকে কোণঠাসা করেন ইমরান খান। আর অন্যদিক থেকে সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন নরেন্দ্র মোদি।
ইমরান খান ওই দিন ফের হুঁশিয়ারি দেন, তিনি জানান দুটি দেশই পরমাণু শক্তি ধরে দেশ। তাই তারা মুখোমুখি হলে এর ফল সীমান্ত ছাড়িয়ে আরও সুদূর প্রসারি হবে।