কোভিডের পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বে অনলাইন গেমিংয়ের চাহিদা বেড়েছে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে প্রি কোভিড থেকে পোস্ট কোভিড পিরিয়ডে গেম খেলার চাহিদা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ভারতেই মোবাইল গেমের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে ১৬ শতাংশ। এই বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে মোবাইল গেমের বাড়বাড়ন্ত, গেম টাইমের বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী স্মার্টফোন। সম্প্রতি একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যাতে দেখা গেছে যে ৩৯৬. ৪ মিলিয়ন গেমার সহ ভারত এখন বিশ্বের গেমার বেসের সারণিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থান দখল করেছে। বাজার গবেষণা সংস্থা নিকো পার্টনার্সের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এশিয়ার শীর্ষ ১০ টি দেশের তালিকায় ভারতে এখন সমস্ত গেমারদের সংখ্যা ৫০.২ শতাংশ। 'দ্য এশিয়া-১০ গেমস মার্কেট' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ বছরে রাজস্বের ক্ষেত্রে ২১ শতাংশের বৃদ্ধির হার সহ ভারতের বাজার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বাজার। তাই নিকো পার্টনার্স অনুমান করছে এশিয়ার শীর্ষ ১০ টি দেশে কম্পিউটার এবং মোবাইল গেমের বাজার ২০২২সালে ৩৫.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌছাবে আর পরের ৪ বছরে ২০২৬ সালে তা পৌছাবে ৪১.৪ ডলারে। শুধু উপার্জন নয় কম্পিউটার (PC) এবং মোবাইল গেমারদের মোট সংখ্যা ২০২২ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ৭৮৮.৭ মিলিয়নে যা ২০২৬ সালে ১.০৬ বিলিয়নে পৌঁছে যাবে। "
রিপোর্টে বলা হয়েছে গেমের আয় এবং গেমারদের সংখ্যার জন্য দ্রুত বর্ধনশীল বাজার হতে চলেছে ভারত, থাইল্যান্ড এবং ফিলিপিন্স । এবং জাপান ও কোরিয়া এশিয়া-10 অঞ্চলের সবচেয়ে পরিণত বাজারের স্বীকৃতি পেয়েছে।