India-China Face-Off: 'সরকার এলএসি-তে কোনও একতরফা পরিবর্তন করতে দেবে না', ধোঁয়াশা কাটিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার

গতকাল সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গালওয়ান উপত্যকা সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা জারি হয়। আজ এই বিষয়ে বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে বলা হয়েছে, গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অন্য ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কয়েকটি মহলে। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টই বলেছিলেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লঙ্ঘন করার যে কোনও প্রয়াসে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানাবে। প্রকৃতপক্ষে, তিনি স্পষ্টতই জোর দিয়েছিলেন যে অতীতের এই চ্যালেঞ্জগুলিকে অবহেলা করা হত, তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন এলএসি-র কোনও লঙ্ঘনের প্রতিরোধ করবে।

Ladakh sector of LAC remains tense since May | (Photo Credit AFP)

নতুন দিল্লি, ২০ জুন: গতকাল সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গালওয়ান উপত্যকা সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা জারি হয়। সর্বদল বৈঠকে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেন, "চিনা সেনা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় অনুপ্রবেশ করেনি, কোনও পোস্টও দখল করেনি৷" যদিও তাহলে কীভাবে ও কেন আমাদের সেনারা শহিদ হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজ এই বিষয়ে বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে বলা হয়েছে, "গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অন্য ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কয়েকটি মহলে। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টই বলেছিলেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লঙ্ঘন করার যে কোনও প্রয়াসে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানাবে। প্রকৃতপক্ষে, তিনি স্পষ্টতই জোর দিয়েছিলেন যে অতীতের এই চ্যালেঞ্জগুলিকে অবহেলা করা হত, তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন এলএসি-র কোনও লঙ্ঘনের প্রতিরোধ করবে।"

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সর্বদল বৈঠকে বলা হয়েছিল যে এবার চিনা বাহিনী এলএসি-তে অনেক বেশি শক্তি নিয়ে এসেছে এবং ভারতের প্রতিক্রিয়াও সামঞ্জস্যপূর্ণ। এলএসি-র সীমানা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে ১৫ জুন গালওয়ানে হিংসা হয়েছিল কারণ চিনের সেনা এলএসি বরাবর কাঠামো খাড়া করতে চেয়েছিল এবং এ জাতীয় পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে অস্বীকার করেছিল।"  আরও পড়ুন: India-China Standoff: 'গালওয়ানে সেনাদের বলিদান বৃথা হতে দেব না', বার্তা দিলেন ভারতীয় বায়ু সেনার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদাউড়িয়া

সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র বক্তব্যের কেন্দ্রবিন্দু হল ১৫ জুন গালওয়ানে হওয়া ঘটনা, যাতে ২০ জন ভারতীয় সেনার প্রাণহানি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ, "আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতার কারণেই ভারতের দিকে চিনের বাহিনীর উপস্থিতি ছিল না। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের সেনাদের আত্মত্যাগের কারণেই কাঠামো খাড়া করার জন্য চিনের প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। এবং সেদিন চিনা সেনাদের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকা আটকানো গেছে। সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "যারা আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করেছিল তাদের আমাদের বীর জওয়ানরা একটি উপযুক্ত শিক্ষা শিখিয়েছিল।" প্রধানমন্ত্রী আরও জোর দিয়েছিলেন, "আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সীমান্ত রক্ষায় কোন প্রকার প্রচেষ্টা ছাড়বে না।"

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভারতীয় অঞ্চল কী তা ভারতের মানচিত্র থেকে পরিষ্কার। এই সরকার তা রাখতে কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্যদিকে চিনের আগেই অনেক অংশ অবৈধভাবে দখল করেছিল বলে সর্বদল বৈঠকে জানানো হয়েছে। গত ৬০ বছরে ৪৩,০০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি চিন দখল করেছে। সেই বিষয়ে দেশ ভালোভাবেই অবগত রয়েছে। এটাও জানানো হয়েছে যে বর্তমান সরকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কোনও একতরফা পরিবর্তন করতে দেবে না।"

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "এমন সময়ে যখন আমাদের সাহসী সেনারা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করছে, দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের মনোবলকে হ্রাস করার জন্য একটি অযৌক্তিক বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। তবে সর্বদলীয় বৈঠকে সবাই এই সংকটের সময়ে সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীকে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন করেছিল। আমরা নিশ্চিত যে প্ররোচিত প্রচারের মাধ্যমে দেশের জনগণের ঐক্য হ্রাস পাবে না।"