প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Latestly.com)

অনন্তপুর, ১৬ জুলাই: ফের নরবলি। একুশ শতকের দ্বিতীয় দশক একেবারে শেষের মুখে। প্রযুক্তি, বিজ্ঞান মানুষকে কিই না দিয়েছে। মহাকাশে চন্দ্রযান দুই পাঠাচ্ছে ভারত, দেশের প্রতিভাধর নাগরিকরা বিদেশের মাটিতে গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। আর এই ভারতে এখনও চলছে নরবলি (Human sacrifice)। এক শিবমন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে গলার নলি কাটা তিনটি দেহ উদ্ধার হল। নরবলির খবর পেয়ে পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ততক্ষণে তিনজনের শরীর থেকেই বেরিয়ে গিয়েছে অনেক রক্ত, তখনও ফিনকি দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) অনন্তপুর জেলায় কোড়িটিকিতা গ্রামে। আরও পড়ুন-স্কুল চত্বরে পড়ে হাইটেনশনের তার, প্রার্থনা করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ৫১ পড়ুয়া

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দেহ তিনটির মধ্যে একজন পুরুষ। তিনি আবার ওই মন্দিরের পুরোহিতও। নাম শিবরামি রেড্ডি(৭০)। মহিলাদের মধ্যে রয়েছেন শিবরামির দিদিকে কমলাম্মা(৭৫)। অন্য মহিলার নাম সত্য লক্ষমাম্মা(৭০)। তবে পুরোহিত ও তাঁর দিদির সঙ্গে ওই মহিলার কী সম্পর্ক তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে বেঙ্গালুরু বাসিন্দা হলেন সত্য লক্ষমাম্মা। তিনি মানত পূরণের জন্যই কোড়িটিকিতা গ্রামে গিয়েছিলেন। মূলত ওই মন্দিরে রাত কাটালে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হবে, এমনটাই জানতেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মনস্কামনা পূরণের লোভ দেখিয়েই ওই মহিলাকে মন্দিরে রাত কাটানোর জন্য রাজি করানো হয়। আর তারপরেই এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মন্দিরের পুরোহিত ও তাঁর দিদিকেও কেন বলি দেওয়া হল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সোমবার রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে। মন্দিরের ভিতরেই পড়েছিল দেহ, রীতিমতো রক্তে ভাসছিল গর্ভগৃহ। চাপ চাপ রক্ত ছিল শিবলিঙ্গের গায়েও। কে বা কারা ঠিক কোন কার্যসিদ্ধির উদ্দেশ্যে এই নারকীয় ঈশ্বরের নাম করে এই নারকীয় হত্যালীলা চালাল সেই সম্পর্কে অন্ধকারে পুলিশ। সকাল বেলা মন্দিরে ঠাকুর প্রণাম করতে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই প্রথম অস্বাভাবিকতা টের পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে গর্ভগৃহ সার্চ করতেই নরবলির ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে।