মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দুর্যোগ কবলিত হিমাচল প্রদেশ থেকে এখনও অবধি ৬ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ অন্ততপক্ষে ৪৫ জন।
গত বুধবার রাত থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে হিমাচলের (Himachal Pradesh) কুলু, মান্ডি, শিমলা বিপর্যস্ত হয়েছে। বিশেষ করে কুলু এবং মান্ডি। কুলুতে ভারী বৃষ্টির জেরে বিপাশা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। ধসে ভেঙে গিয়েছে বহু ঘর বাড়ি। প্রশাসনের তরফে কুলু এবং মান্ডির সমস্ত স্কুল এবং কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার চতুর্থ দিনেও সকাল থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। জাতীয় এবং রাজ্য মোকাবিলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, হিমাচল পুলিশ সকলে সম্মিলিত ভাবে উদ্ধারকাজে নেমেছে। ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে পৌঁছে উদ্ধারকাল চালানোর জন্যে সেনাবাহিনীর দল অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করেছে।
হিমাচলে জারি উদ্ধার কাজ...
#WATCH | Himachal Pradesh | Indian Army rescues people stranded in the areas affected by the cloudburst that occurred on August 1 in Rampur's Samej leaving at least 6 people dead.
The Army establishes temporary bridges to establish connectivity between areas cut off, to… pic.twitter.com/e0MFvbxP8p
— ANI (@ANI) August 4, 2024
বর্ষা আসার আগে থেকেই হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ২৭ জুন থেকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত কেবলমাত্র বৃষ্টির কারণে সে রাজ্যে প্রায় ৮০ জন মারা গিয়েছেন। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, হড়পা বানে রাজ্যের ১১৫ টি ঘর, ২৩ টি গোয়াল, ১০ টি দোকান এবং তিনটি মাছের ভেড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় বন্যাবিধ্বস্তদের পরিবারকে ৫০,০০০ টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া আগামী তিন মাস তাদের ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপনে আবার তাঁরা ফিরে আসতে পারে। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে রান্নার গ্যাস, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও।