নতুন দিল্লি, ৭ ডিসেম্বর: চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে ২০১৯-২০ আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে। যদি ইতিমধ্যেই আয়কর রিটার্নের ফাইল (ITR Filing) জমা করে থাকেন তো ভাল। যদি উত্তর না হয়, তাহলে সময় নষ্ট না করে এই বেলা আয়কর রিটার্নের আবেদন করে ফেলুন। কারণ ৩১ ডিসেম্বর আসতে আর বেশি দেরি নেই। সাধারণত আয়কর রিটার্নের ফাইলিং হয়ে যায় ৩০ জুনের মধ্যে। তবে চলতি বছর মহামারী করোনার কোপে সমস্ত হিসেব ওলোটপালোট হয়ে গিয়েছে। এ বছর আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা বেশ কয়েকবার বেড়েছে। যখন শেষের দিন আর দূরে নয়, তখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আয়কর রিটার্নের ফাইলিং করে ফেলুন।
কারণ শেষের দিকে সবাই প্রায় আয়কর রিটার্নের আবেদন করতে তাড়াহুড়ো শুরু করবেন। চাপ পড়ে যাবে আয়কর দপ্তরের সার্ভারে। এর জরে নানারকম প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবেদনে কোনও তথ্যগত ভুল থেকে থাকলে পরবর্তিতে আপনার আয়কর রিটার্নের গোটা প্রক্রিয়াটি ধীর গতিতে হয়ে যাবে।
আয়কর রিটার্নের আবেদনে কী কী করবেন আর কী কী করবেন না:
- সঠিক আয়কর ফর্ম সিলেক্ট করুন: আয়কর রিটার্নের ফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভুল আয়কর রিটার্নের ফর্ম দাখিল করলে পুরো প্রক্রিয়া বিফলে যাবে রিটার্ন ইনভ্যালিড হয়ে যাবে।
- সঠিক মূল্যায়ণের বছর বেছে নিন: মনে রাখবেন আপনার মূল্যায়ণের বছর ২০২০-২১। আর আপনি ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষের আয়কর রিটার্ন ফাইল করছেন। মনে রাখবেন আপনার দেওয়া একটা ভুল তথ্যই, টাকা ফেরতের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- বিগত আর্থিক বছরের আয়ের হিসেব দিতে হবে: যদি আপনার আয়কর রিটার্ন ফাইলিংয়ে গতবছরের আয়ের হিসেব অনিচ্ছাকৃতভাবে দিতে ভুলে যান। তাহলে আয়কর দপ্তরের থেকে নোটিস পেতে পারেন।
- আয়কর রিটার্ন ফাইলিংয়ের শেষে ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করুন: আয়কর রিটার্ন ফাইলিংয়ের পরে গোটা প্রক্রিয়াটি ভেরিফাই করা বাধ্যতামূলক। মূলত আয়কর রিটার্ন ফাইলিংয়ের ১২০ দিনের মধ্যে এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ম করতে হবে। নাহলে আয়কর রিটার্ন ফাইলিং সম্পূর্ণ বলে গন্য হবে না। দুভাবে এই প্রক্রিয়া আপনি সারতে পারেন। প্রথমটি আয়কর রিটার্ন ফাইলিংয়ের পরে ১ মিনিটের মধ্যেই অনলাইনে কাজটি সারতে পারেন। নাহলে ফর্ম ডাউনলোডের পর ফিলআপ করে বেঙ্গালুরু অফিসে জমা করতে পারেন।