দিল্লি, ৪ জুলাই: হাথরসে সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার প্রবচন শেষ হতেই, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ১২১ থেকে ১২৩ জন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথায়, ভোলে বাবার অনুষ্ঠান শেষ হলে, তাঁকে স্পর্শ করতে যান বেশ কয়েকজন মহিলা। তাঁদের পিছু নিয়ে আরও মানুষ এগিয়ে গিয়ে একজনের পিঠে অন্যজন চড়তে শুরু করেন। তখনই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের পর থেকে মৃতদের খোঁজে এক হাসপাতাল থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অসহায় মানুষ। কখনও বিভিন্ন হাসপাতাল আবার কখনও এক জায়গা থেকে অন্য মর্গ, মানুষ প্রিয়জনকে শেষ দেখার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এসবের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ শঙ্কর হরির বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসে উঠতে শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, ভোলে বাবা নামে ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর খোঁজ মিলছে না পরশুর ঘটনার পর থেকে। নারায়ণ শঙ্কর হরি সামনে না এলেও, তাঁর আইনজীবী প্রকাশ্যে আসছেন। দুর্ঘটনার তদন্তে ভোলে বাবা সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে তাঁর আইনজীবীর দাবি।
ভোলে বাবার বিরুদ্ধে যখন মানুষের রাগ, ক্ষোভ বাড়ছে সেই সময় কিছু মানুষ বক্তব্য প্রকাশ করছেন। স্বঘোষিত গুরু যদি তাঁদের ভালবাসেন, তাঁদের কথা ভাবেন তাহলে তিনি সামনে আসুন বলে দাবি অনেকের। ভোলে বাবার অন্য ভক্ত, স্বঘোষিত গুরুর পোস্টার ছিঁড়ে ক্রমাগত তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।
বিনোদ নামের ওই ব্যক্তি পরিবার নিয়ে সৎসঙ্গে গেলে, পদপিষ্ট হয়ে তাঁর মা, স্ত্রীর মৃত্যযু হয়। এমনকী বিনোদের ছোট্ট সন্তানকেও তিনি হারিয়েছেন। বিনোদের কথায়, সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হওয়ার খবর তাঁর কানে আসে সেদিন বিকেলে। তবে তিনি সেখানে যাওয়ার আগেই সব শেষ হয়ে যায় বলে বিনোদ জানান।