উত্তরপ্রদেশের হাথরস (ছবিঃPTI)

নয়াদিল্লিঃ উত্তর প্রদেশের হাথরসে (Hathras stampede) একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। সেই ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠান শেষে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। স্বঘোষিত ধর্মগুরু'ভোলে বাবা'ওরফে বিশ্ব হরির (Biswa Hari) টানে ভিড় জমিয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১১৬। আজ, বুধবার সকালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১। আহত ২৮ জন। ১৯ জনের দেহ এখনও পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি। বাকি ২৪ টি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? সৎ সঙ্গে কি ছিল না কোনও শৃঙ্খলা? এ সব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তদন্তকারী দল। খোঁজ চলছে 'ভোলে বাবা' ওরফে বিশ্ব হরির। এই ঘটনা ঘটার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। তাঁর খোঁজে বুধবার সকালে মণিপুরি জেলার রাম কুটীর চ্যারিটেবল ট্রাস্টে হানা দেয় পুলিশের গোয়েন্দারা। সেখানে তল্লাশি চালান তাঁরা। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় বিশ্ব হরি এবং এই সৎ সঙ্গের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে থানায়।

এই খবরটিও পড়ুনঃ হাথরস ঘটনায় মূল অভিযুক্ত 'ভোলে বাবা'-এর খোঁজে রাম কুটীর চ্যারিটেবল ট্রাস্টে পৌঁছলেন গোয়েন্দারা, চলছে তল্লাশি